বড়দিনের ছুটিতে রাজ্যের বিভিন্ন পার্কে এবং বিনোদনের স্থানে জনসমাগম হয়ে থাকে বেশ ভালো পরিমানে। পশ্চিমবঙ্গের বহু মানুষ জাদুঘর থেকে শুরু করে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল এবং অন্যান্য দর্শনীয় স্থানে ভ্রমণ করে থাকেন এই বিশেষ দিনগুলিতে। ডিসেম্বরের একেবারে শেষ সপ্তাহে সেই কারণে এই সমস্ত দর্শনীয় স্থানে ভিড় থাকে প্রবল এবং সেই ভিড় সামাল দিতে রীতিমতো কোমর বেঁধে নামতে হয় রাজ্য পরিবহন দফতরকে। সেই মতো এবারও কিন্তু চাহিদা রয়েছে প্রবল। সেই কারণেই, এই রুটগুলি ছাড়াও এবারে নিউ টাউন ইকোপার্ক কেন্দ্রিক রুট গুলির উপরেও বাড়তি চাপ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য পরিবহন দপ্তর। এই সমস্ত রুটে অতিরিক্ত বাস চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি আলিপুরে নতুন গড়ে ওঠা জেল মিউজিয়ামকে কেন্দ্র করেও বেশ কিছু বাড়তি বাস চালাতে পারে রাজ্য সরকার।
গত দুবছরের তুলনায় এ বছর করোনাভাইরাসের ভয় কম থাকার কারণে এ বছর নিউটাউন ইকো পার্কের দিকে ভিড় অনেকটাই বেশি হবে বলে মনে করছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ ইকো পার্কে ভিড় জমানো শুরু করে দিয়েছেন। সেই কারণে দুপুরের পর থেকে ইকোপার্ক থেকে শহরের বিভিন্ন জায়গার উদ্দেশ্যে বাস চালাবে রাজ্য পরিবহন দপ্তর। এই মুহূর্তে এই রুটে দৈনিক গড়ে ১০০ থেকে ১৩০ টি বাস চালাতে পারে রাজ্য পরিবহন দপ্তর। দুপুরের পর থেকেই এই বাস চলবে এই সমস্ত রুটগুলি ধরে। এছাড়াও প্রতিবারের মতো এবারও নিউটাউনের প্যাঁচার মোড় থেকে অতিরিক্ত বাস চালাবে রাজ্য পরিবহন দপ্তর। পাশাপাশি এই দিনগুলিতে বেসরকারি বাস চালাতেও পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে রাজ্য পরিবহন দপ্তর। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিবহন দপ্তরের সঙ্গে কথা বলে যাতে ওই সময়গুলিতে এই রাস্তায় বেশি বাস চালানো যায়, সেই নিয়ে বৈঠক শুরু করেছে রাজ্য সরকার। সরকারি বাসের পাশাপাশি যাতে বেসরকারি বাস ওই রাস্তায় চলে সেই জন্য পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য।
তার পাশাপাশি এবছরের শীতের ছুটিতে আলিপুর জেল মিউজিয়াম কেন্দ্রিক বিভিন্ন রুটে অতিরিক্ত বাস চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। সূত্রের খবর, পরিকল্পনা খুব দ্রুত চূড়ান্ত করা হবে। এ সবের পাশাপাশি ই এম বাইপাস, পার্ক স্ট্রিট, সল্টলেক-সহ যে সব রুটে যাত্রীদের চাহিদা বেশি, সেখানেও বাসের সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। পরিবহণ নিগমের আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, এই সময়ে যাত্রীদের চাহিদা বাড়ার ফলে নিগমের আয়ও বাড়ানোর সুযোগ থাকে। ফলে, কম ভাড়ায় বাস চালানোর প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে আয় বাড়াতে তাঁরাও মরিয়া।