বর্তমানের কর্মব্যস্ত যুগে মানুষের হাতে সময় খুব কম। সবসময় নিয়ম করে নিজের যত্ন নেওয়া সম্ভব হয় না কারোর পক্ষেই। তবে একেবারেই যদি নিজের কিংবা ত্বকের যত্ন নেওয়া না হয় তাহলে, গুরুতর সমস্যা দেখা দেবে। সর্বদা পার্লারে গিয়ে নিজের ত্বকের যত্ন নেওয়া সম্ভব হয় না। আজকের প্রজন্মও বেশিরভাগ সময়ই ঘরোয়া ভাবেই যত্ন নিতে চান ত্বকের। আর এই গরমের দিনে যা ভীষণভাবে প্রয়োজনীয়।
দুধ খাওয়া মানুষের শরীরের পক্ষে ভীষণই উপকারী। সকলেই কমবেশি দুধ খেয়ে থাকেন। তবে শরীরের পাশাপাশি ত্বকের জন্যেও এটি বেশ উপকারী। ঘরোয়াভাবে দুধ দিয়েই তৈরি করে নেওয়া যায় ফেসপ্যাক, যা ত্বকের একাধিক সমস্যার সমাধান। এই নিবন্ধের সূত্র ধরে সেই প্রসঙ্গেই বিস্তারিত আলোচনা করা হল।
ফেসপ্যাক বানানোর পদ্ধতি:
১) প্রথমে একটি পাত্রে ২-৪ টেবিল চামচ কাঁচা দুধ নিয়ে নিতে হবে।
২) এরপর অর্ধেক কলা ভালো করে ব্লেন্ড করে ঐ পাত্রের দুধের সাথে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে।
৩) এরপর সেই মিশ্রণটি মুখে আঙুল দিয়ে ভালো করে লাগিয়ে নিয়ে ১৫ মিনিটের জন্য ছেড়ে দিতে হবে।
৪) শেষে পরিষ্কার জল দিয়ে মুখ ভালো করে ধুয়ে নিলেই তফাৎ নজরে আসবে।
৫)এটি ত্বকের একাধিক সমস্যা মেটানোর পাশাপাশি ত্বকের টানটান ভাব বজায় রাখতেও ভীষণভাবে কার্যকরী।
এছাড়াও কাঁচা দুধে টমেটোর পাল্প ভালো করে মিশিয়ে ফেসমাস্ক হিসেবে মুখে লাগানো যেতে পারে। এটি ত্বকের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে ও ত্বকের দীর্ঘস্থায়ী দাগ মেটাতে কার্যকরী। উল্লেখ্য, টমেটো ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। আর সেই জন্যই এটি ত্বকের একাধিক সমস্যা দূর করতে কার্যকরী।
উপকারিতা:
১) কাঁচা দুধ প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম ও আয়রন সমৃদ্ধ। খুব স্বাভাবিকভাবেই শরীরের একাধিক চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি এটি ত্বকেরও একাধিক সমস্যা মেটাতে সক্ষম।
২) ক্লিনজার হিসেবেও কাঁচা দুধ ত্বকের উপর প্রয়োগ করা যেতে পারে। কাঁচা দুধে ল্যাকটিক অ্যাসিড উপস্থিত। আর সেই জন্যই এটি অ্যান্টি এজিং ফেস ক্লিনজার হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি ত্বকের মৃত কোষের অপসারণ ঘটিয়ে নতুন কোষ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে থাকে।
৩) ত্বকের হারিয়ে যাওয়া আদ্রতা ফিরিয়ে আনতে কাঁচা দুধ কার্যকরী। এটি ত্বককে ভিতর থেকে কোমল রাখতে ও কাঁচা দুধে উপস্থিত উপাদান ত্বকের ছিদ্র পরিষ্কার রাখতেও সহায়তা করে থাকে। ত্বকের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে ও দীর্ঘস্থায়ী ব্রণর সমস্যা মেটাতেও সহায়তা করে এটি।