২০১২ সালের দিল্লির নির্ভয়া কান্ডের সাজা ফাঁসির সাজা আরেক ধাপ এগোলো। বারবার ফাঁসির তারিখ আসলেই অভিযুক্তরা নানা রকম অছিলায় সেই তারিখ পিছিয়ে যাচ্ছিলো। চতুর্থবার ফাঁসির তারিখ নির্বাচিত হয়েছে ২০ মার্চ। এবার তারা বিভিন্ন রকম আইনি প্রক্রিয়া নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে। তবে আদালত সেই সব আবেদন খারিজ করে দিয়েছে।
রাষ্ট্রপতির কাছে চার অপরাধীর পরিবার স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন করেছিল। পরিবার বলতে অপরাধীদের বাবা-মা, বাচ্চা, স্ত্রী এরা। তাদের বক্তব্য ছিল যে অপরাধীদের ক্ষমা করে স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি দেওয়া হোক। তারা এই আবেদন আদালতের পাশাপাশি নির্যাতিতার পরিবারের কাছেও রেখেছিলো। কিন্তু এই আবেদন সম্পূর্ণভাবে নাকচ করে দেওয়া হয়। এরপর মুকেশ সিংহ নতুন করে সংশোধনী দায়ের করে, যেটাও সোমবার খারিজ করে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন : অর্থ কেলেঙ্কারিতে ইয়েস ব্যাঙ্ক, অনিল আম্বানিকে তলব ইডির
এর আগেও অপরাধীরা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষার আবেদন করেছিল। এমনকি দিল্লির উপরাজ্যপালের কাছেও সাজা পরিবর্তন করার আবেদন করেছিল বিনয় শর্মার আইনজীবী। সেটাও খারিজ করে দিয়েছিলেন। মুকেশের আইনজীবীর দাবি ছিল যে মুকেশকে ২০২১ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত সময় দেওয়া হোক। আদালত সেই সময় দেয়নি বলে সূত্রের খবর। মুকেশের এই আবেদন যখন খারিজ হয়ে গেছে তখন ২০মার্চ ফাঁসি হওয়ার পথে আর কোনো সমস্যা হবে না বলে আইনজীবী মহল মনে করছেন।