Today Trending Newsদেশনিউজ

আজ দেশ জুড়ে কৃষকদের চাক্কা জ্যাম, এক নজরে দেখে নিন পরিকল্পনা

Advertisement

নয়াদিল্লি: কেন্দ্রের (Central Govt) কৃষি আইনের (Farm Law!) বিরুদ্ধে কৃষক আন্দোলন ৭৩ দিনের বেশি হয়ে গেল চলছে। দিল্লির (Delhi) সিঙ্ঘু, গাজিয়াবাদ ও টিকরি সীমানায় ধর্না দিয়ে বসে আছেন কৃষকরা। আজ, শনিবার (Saturday) কৃষকরা (Farmers) দেশ জুড়ে চাক্কা জ্যামের ডাক দিয়েছেন কৃষকরা। দেশের সব রাস্তা বন্ধ করা হবে। কেন্দ্রের ইন্টারনেট (Internet) ব্যান ও বাজেটে (Budget) কৃষকদের দাবি-দাওয়াকে উপেক্ষা করার প্রতিবাদে মেগা র‌্যালি (Rally) হবে।

সীমানায় ইতিমধ্যেই নিরাপত্তা আরও জোরদার করেছে দিল্লি পুলিশ। রাস্তায় লোহার কাঁটা, মজবুত ব্যারিকেড, বিশাল বাহিনী– সব মিলিয়ে কৃষকরা যাতে রাজধানীতে না প্রবেশ করতে পারেন, সেই জন্য যতটা সম্ভব নিরাপত্তার লৌহ বাসর সাজিয়েছে দিল্লি পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার তীব্র ঠান্ডা উপেক্ষা করেই আরও কৃষক জড়ো হয়েছেন গাজিয়াবাদ সীমানায়।

ভারতীয় কিসান ইউনিয়নের নেতা রাকেশ টিকায়েত জানিয়েছেন, দিল্লির সীমানায় কৃষকদের এই আন্দোলন চলতে পারে অক্টোবর পর্যন্ত। গ্রামবাসীরাও সমর্থন করবেন আন্দোলন। দিল্লিতে চাক্কা জ্যাম করা হবে না। তবে রাজধানী সংলগ্ন সব জায়গায় অবরোধ হবে। উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, রাজস্থানের পাশাপাশি গোটা দেশে অবরোধ হবে। তাঁর কথায়, ‘দিল্লিতে আমরা কিছু করছি না। ওখানে রাজা নিজেই নিজেকে কেল্লা-বন্দি করে রেখেছেন। আমাদের অবরোধ করার দরকার নেই।’

চাক্কা জ্যাম কখন ও কতক্ষণ হবে?

রাকেশ টিকায়েতের কথায়, ‘৩ ঘণ্টার জন্য গোটা দেশে চাক্কা জ্যাম করা হবে। দিল্লিতে অবরোধ করা হবে না। কিন্তু বাকি গোটা দেশেই হবে। যে সব গাড়ি রাস্তায় চাক্কা জ্যামের জন্য আটকে পড়বে, সেই সব গাড়ির চালক ও যাত্রীদের আমরা খাবার ও জল পরিবেশন করব। ছোলা, বাদামও দেব। সবাইকে বোঝাবো, সরকার আমাদের সঙ্গে কী করছে।’

সাংবাদিক সম্মেলনে কৃষক নেতা জানান, শনিবার বেলা ১২টা থেকে দুপুর ৩টে পর্যন্ত চাক্কা জ্যাম করা হবে গোটা দেশে। দেশের সব গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা বন্ধ করা হবে। শুধু ছাড় দেওয়া হয়েছে রাজধানী দিল্লিতে।

কৃষকদের চাক্কা জ্যাম কর্মসূচিকে প্রতিহত করতে কোনও ব্যবস্থাই বাদ রাখেনি প্রশাসন। ট্রেনে করে যাতে দেশের অন্যান্য রাজ্য থেকে কৃষকরা প্রতিবাদ স্থলে না পৌঁছতে পারেন, তার জন্য বহু ট্রেনের রুট ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মাল্টিলেয়ার ব্যারিকেড, রাস্তায় লোহার কাঁটা, কাঁটাতার ও এন্ট্রি পয়েন্টগুলোতে বাস দাঁড় করিয়ে রেখে বন্ধ করা হয়েছে।

Related Articles

Back to top button