Business Idea: মাত্র ১ টাকা খরচ করে লাভ হয়ে যাবে ১০ টাকা, জানুন কী করবেন
ওল চাষ আপনি কিন্তু প্রচুর টাকা রোজগার করতে পারবেন
ওল খেলে সাধারণত মানুষের গলা চুলকায় এবং এই কারণে অনেকেই ওল খেতে চান না। তবে নতুন জাতের কাভুর ওল কিন্তু মাখন এর মত খুবই সুস্বাদু এবং এতে কিন্তু গলা চুলকায় না। এই ওল আপনি চাষ করবেন কিভাবে জানেন? সঠিক পদ্ধতিতে এই ধরনের ওল চাষ করতে পারলে কিন্তু ভালো টাকা রোজগার করা সম্ভব। একটা নির্দিষ্ট সময়ে আপনি এই ওল চাষ করতে পারবেন। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক কৃষি বিশেষজ্ঞ রাধিকারঞ্জন দেবভুতির থেকে, কিভাবে আপনারা এই ওল চাষ করে প্রচুর টাকা রোজগার করতে পারবেন। এক টাকা খরচা করলেই কিন্তু এই ওল চাষ করলে দশ টাকা লাভ করতে পারবেন আপনি। সঠিক পদ্ধতিতে এই ওল চাষ করলে যতটা লাগাবেন, তার মোটামুটি দশ গুণ ফলন আপনি পেয়ে যাবেন। এছাড়াও এই ওল চাষ করলে কিন্তু ১৩ থেকে ১৪ গুন পর্যন্ত ফলন পাওয়া যেতে পারে।
উষ্ণ এবং আর্দ্র আবহাওয়া এই ওল গাছের জন্য খুবই প্রয়োজন। সেই জন্য খরিফ মরশুমে এই ওল চাষ করা হয়। ভালো সেচের ব্যবস্থা থাকলে ফাল্গুন এবং চৈত্র মাসে কিন্তু এই ওল চাষ করা সম্ভব। বলতে গেলে এই সময়ে এই গাছ লাগানো সবথেকে ভালো। কারণ আগেভাগে ফসল ওঠে বলে বাজারে দাম পাওয়া যায়। সারাদিন রোদ পায় আর জল দাঁড়ায় না এমন জমি কিন্তু ওল চাষের জন্য আদর্শ। এরকম জমি আপনাকে বেছে নিতে হবে। এছাড়াও চাষ এবং মই দিয়ে জমির মাটি ঝুরঝুর এবং সমতল করে নিতে হবে। এরপর আগাছা ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে আপনাকে। এরপর কাজ হবে বীজ বপন করার।
বীজ বপন হয়ে গেলে কয়েকদিন পর রোদে ওল গরম করে নিলে অঙ্কুরোদগম ভালো হয়। কেজি খানেকের মতো বীজকন্ধ পেলে খুব ভালো হয়। না হলে ৫০০ গ্রাম থেকে এক কেজির মত অংশ সমেত টুকরো টুকরো করে কেটে বসাতে হবে আপনাকে। বসানোর আগে অবশ্য শোধন করা দরকার। বীজ লাগানোর পরে দেড় মাস পর আপনাকে ইউরিয়া এবং ইউরিক অ্যাসিড দিতে হবে। ওর ফসলের রোগ পোকার আক্রমণ খুব একটা বেশি নেই। সেই কারণে গোড়া পচার কোন সমস্যা থাকে না। বর্ষার সময় ধসা বা পচার উপদ্রব হলে সবার আগে আপনাকে জমির জল নিকাশি ব্যবস্থার দিকে নজর দিতে হবে। পাঁচ ছয় মাস পরে যখন পাতা হলুদ হয়ে যাবে তখন আপনি ওল তুলতে পারবেন। ৭ থেকে ৮ কুইন্টাল ওল লাগিয়ে কিন্তু আপনি ১৫০ থেকে ১৭০ কুইন্টাল মত ফলন পেতে পারেন। তাই বলতে গেলে ওল চাষ অনেকটাই লটারির মত।