জীবনযাপন

নারীর বন্ধ্যাত্ব দূর করার উপায় জেনে নিন!

Advertisement

ভারত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক, সায়ন্তিকা দাস : মা হওয়া সব নারীদেরই স্বপ্ন। কিন্তু বর্তমান যুগে অনেক চেষ্টার পরেও গর্ভধারন করতে পারছেন না এমন নারীর সংখ্যা অনেক। এইসব নারীদের জন্য রয়েছে কিছু ফার্টিলিটি ডায়েট। যা মেনে চলা তেমন কোন কষ্টকর না। শুধু প্রতিদিনের খাবার তালিকায় কিছু কিছু বদল করে নিলেই হবে। চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক এই সব নারীদের ক্ষেত্রে কি কি খাবার খাওয়া উচিত এবং কি কি খাবার খাওয়া উচিত নয়–

যেমন ভাতের মধ্যে রাখতে হবে লাল বা বাদামি চালের ভাত । ডালের মধ্যে খোসাওয়ালা ডাল। এবং পাস্তা নুডুলস জাতীয় খাবার ও যোগ করতে হবে।

ফ্যাট দুই ধরনের হয়- অপকারী এবং উপকারী। এই অপকারী ফ্যাট বাদ দিয়ে আমাদের উপকারী ফ্যাট জাতীয় খাবার খেতে হবে। প্রোটিন জাতীয় খাবার খেতে হবে ।মাছ, মাংস, ডিম এর পাশাপাশি ছোলা, দুধ জাতীয় খাবার খেতে হবে।

বিজ্ঞানীরা নার্সেস হেলথ স্টাডি নামের এক স্টাডিতে আট বছর ধরে 8000 বন্ধ্যা নারীর ওপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এই ডায়েট তৈরি করেছেন। এবং তাতে ফলও হয়েছে খুব ভালো।

এই ফার্টিলিটি ডায়েট মেনে চললে ডিম্বাণুর সংখ্যা অনেকগুন বেড়ে যায়। হাই কোলেস্টেরল, প্রেসার, ডায়াবেটিস, হৃদরোগের আশঙ্কা অনেক গুণ কমে যায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।

খাদ্যতালিকা থেকে ট্রান্সফ্যাট কে বাদ দিন। কারণ এই ট্রান্সফ্যাট ডিম্বানুর ক্ষতি করা থেকে শুরু করে হাই কোলেস্টেরল, হৃদরোগ ,ওজন বাড়া ইত্যাদি সবকিছুর জন্য দায়ী। তাই যেকোনো প্রক্রিয়াজাত খাবার ,বেকড খাবার ইত্যাদি খাবার গুলিকে বর্জন করে চলুন।

মুফা ও পুফাসমৃদ্ধ খাবার ডায়াবেটিস ও ওজন বৃদ্ধির হাত থেকে রক্ষা করে। এজন্য বিভিন্ন সবজি জাতীয় তেল, বিভিন্ন বাদাম, উদ্ভিদ জাতীয় খাদ্য ও বিভিন্ন মাছ পরিমান মত খান। মাছের মধ্যে রয়েছে স্যামন, সার্ডিন, ইলিশ। এছাড়া তৈলাক্ত খাবার কম খান।

যেসব কার্বোহাইড্রেট দ্রুত গতিতে হজম হয়ে রক্তে মিশে যায় সেসব কার্বোহাইড্রেট বাদ দিয়ে ধীরগতিতে হজম হয় এমন কার্বোহাইড্রেট খান। এতে রক্তের সুগার লেভেল ঠিক থাকে ও ডিম্বাণুর মান ভালো থাকে। প্রচুর পরিমাণে শাক-সবজি ও ফল খান।

হোল মিল্ক ও মাঝে মধ্যে আইসক্রিম খান। দিনে 400 মাইক্রোগ্রাম করে ফলিক অ্যাসিড ও মাল্টিভিটামিন যুক্ত খাবার খান । এতে ডিম্বাণুর মান বাড়বে ও সুস্থ সন্তানের জন্ম দেওয়ার প্রবণতা বাড়ে।

আয়রন যুক্ত খাবার যেমন কুমড়া ,টমেটো ইত্যাদি খান। এতে বন্ধ্যাত্বের সমস্যা কমবে।

এছাড়া ওজন ঠিক রাখার চেষ্টা করুন ।কারণ ওজন কম বেশি থাকলে পিরিয়ডের গোলমাল হতে পারে এবং ডিম্বাণুর সমস্যা হতে পারে।

Related Articles

Back to top button