অবশেষে জল্পনার হয়েছে অবসান। ঘাসফুল শিবির ছেড়ে এইদিন পদ্মশিবিরে পা রেখেছেন জননেতা শুভেন্দু অধিকারী। প্রথমে তিনি অমিত শাহের সভায় উপস্থিত হন এবং প্রণাম করেন শাহকে। তারপরই বিজেপি শিবিরে যোগদান করেন শুভেন্দু। তার সাথে যোগ দিয়েছেন আরও ১০ জন হেভিওয়েট নেতা। অন্যদিকে এই বিষয়ে নিজের মতামত প্রকাশ করেন ফিরহাদ হাকিম। তাকে দেখা গিয়েছে শাহের সভাকে নিয়েও বক্তব্য প্রকাশ করতে। এইদিন ফিরহাদ বলেন,”বিজেপি হল নাটকাবাজের দল। এতে কোনও আশ্চর্যই নেই। যদি বিবেকানন্দকে তারা সত্যিই ভালোবাসতেন, তবে আদর্শকে তারা ভালোবাসতেন। কেবল মূর্তিতে মালা পড়ালেই বিবেকানন্দের আদর্শ নেওয়া হয়ে যায়না। বিবেকানন্দ বলেছিলেন, সবার ওপরে মানুষ সত্য। আজ তারা কি করছেন? ধর্ষণ করে খুন করা হচ্ছে। ”
তারপর অমিত শাহকে বাক্যবাণ ছুঁড়েছেন হাকিম। তার বক্তব্য,”দিল্লিতে ৫২ জন দাঙ্গায় মারা গিয়েছেন। যেখানে বিজেপি পা রাখছে সেখানে শুরু হচ্ছে বিদ্রোহ। কোথায় ধর্ম রক্ষা? কি করে মানছেন তারা বিবেকানন্দের আদর্শ? বিবেকানন্দ সব ধর্মকে সমান মনে করতেন। কোথায় সেই আদর্শ? কেবল মালা দিলেই হয়না। কখনও তারা আদর্শ ভাঙে, আর কখনও যে আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন অর্থাৎ বিদ্যাসাগর, তার মূর্তি ভেঙে দিচ্ছে।”
তারপর তিনি বিজেপিকে কটাক্ষ করেন কবিগুরুর বিষয় নিয়ে। তিনি বলেন,”অমিত শাহের পোস্টারে, তার পায়ের নীচে রয়েছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এর থেকে বোঝাই যাচ্ছে যে যারা আমাদের সংস্কৃতি জানে না, তারা বাংলায় আসলে পুরো তছনছ হয়ে যাবে বাংলা। আর কেবল বোকা বানাতে জানেন তারা। বাংলা হল ‘গোল্ডেন বার্ড’, একে দখল করতে চাইছে বিজেপি। কারণ তারা জানেন যে এটিকে দখল করলেই দখল হয়ে যাবে গোটা ভারতবর্ষ। তারপর তারা এখানে চালু করবেন কৃষি আইন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকতে তা কখনও সম্ভব নয়। তারপর জনতা রয়ে যাবেন খালি হাতে। ”
ফিরহাদের কথায়,” বাংলার জনতাকে এতটা বোকা ভাববেন না। আমরা আমাদের সংস্কৃতি রক্ষা করতে জানি। আমরা লড়তে জানি, আটকাতে জানি।” কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা এসেছেন বাংলা পর্যবেক্ষণ করতে, সেই বিষয়ে হাকিম বলেন,” তারা তো আসবেই, তাদের তো বাংলা দখল করতে হবে। কিন্তু আমরা লড়ব।”