শুভেন্দু, শীলভদ্র, অতীনের পর এইবার বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রকাশ্যেই এইদিন দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন রাজীব। তার মন্তব্যে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। একের পর এক নেতা উগরে দিচ্ছেন নিজের ক্ষোভ। সেই বিষয়ে এইদিন কথা বলতে দেখা গেল ফিরহাদ হাকিমকে। এইদিন ফিরহাদ হাকিম বলেন,”একজন শিয়াল হুক্কা হুয়া চিৎকার করলে, পাশ থেকে সবাই হুক্কা হুয়া শুরু করে।”
এইদিন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় ফিরহাদ হাকিমকে। সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন,”ডিপ্রেশন খুবই অদ্ভুত একটি রোগ। একজনকে দেখে আরেকজন ডিপ্রেশনে চলে যান। সবাইকে বলব, এখানে ডিপ্রেশনের কোনও জায়গা নেই। আমরা সবাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক, এটাই মনে রাখতে হবে।”
এইদিন দলবিরোধী মন্তব্য করেন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তার মন্তব্যকে নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা উঠেছে তুঙ্গে। তবে কি তিনিও ছাড়তে চলেছেন দল? এমন অবস্থা দেখে নিজেদের দলে আহ্বান জানাতে ভোলেননি বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন,”কখনও রাজীব বা কখনও অন্যরা। তৃণমূলের সকলে একে একে আসছেন। রাজীবকে স্বাগত দলে। ভালো কাজ করছিল। ও যদি দলে আসতে চায় তবে স্বাগত।”
অন্যদিকে বিজেপিতে যোগদানের ব্যাপারে ফিরহাদ বলেন,”রাজীব বুদ্ধিমান ছেলে। অনেক লোক ওকে গ্যাস দেওয়ার চেষ্টা করবে। আমার মনে হয়, রাজীব সেই গ্যাস খাবেনা।”
অতীন ঘোষের পর এইদিন শুভেন্দুকে নিয়ে মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তার মতে, শুভেন্দু দল ছাড়লে দলের অনেক ক্ষতি। দলের দেখা উচিৎ নেতাদের দলের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ কেন?” প্রকাশ্যে দলের বিরুদ্ধে কথা বলায় রাজীবের ওপরে অনেকটাই ক্ষুব্ধ তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা। এই বিষয়ে মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন,” চোরের মায়ের বড় গলা”।