একুশে নির্বাচনের প্রাক্কালে দলীয় নেতাদের অসন্তোষ নিয়ে প্রবল অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee) মাঝেমাঝেই একাধিক ইস্যুতে দলের বিরুদ্ধে গিয়ে কথা বলছে। ইতিমধ্যেই দলের মন্ত্রিসভার ৪ টি বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন তিনি। তাই দলের মধ্যে পুরনো স্বাচ্ছন্দ ফিরিয়ে আনতে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মানভঞ্জনের দায়িত্ব নিল তৃণমূল শীর্ষনেতা ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। আসলে বর্তমানে হাওড়ার পরিস্থিতি শাসকদলের হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে। একের পর এক নেতা বিদ্রোহী হয়ে উঠছে দলের বিরুদ্ধে। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ফিরহাদ হাকিমকে হাওড়া জেলা পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ করলেন।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে যে ইতিমধ্যেই ফিরহাদ হাকিম রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এর সঙ্গে কথা বলে তার ক্ষোভের কারণ জানতে চেয়েছে। সেইসাথে তিনি মন্ত্রিসভার বৈঠকে কেন আসছেন না দা নিয়ম প্রশ্ন করেন তিনি। কিন্তু রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ফোনে এই ব্যাপারে কোন উত্তর দেয়নি। তাই ফিরহাদ হাকিম তাকে সরাসরি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর সাথে দেখা করার পরামর্শ দিয়েছেন। অবশ্য তাতে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও আদেও রাজি নাকি, সেই সম্বন্ধে কিছু জানা যায়নি।
প্রসঙ্গত গত কয়েক মাস ধরে শাসকদলের বিরুদ্ধে গলায় সুর তুলছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। কিছুদিন আগে তো প্রবল জল্পনা শুরু হয়েছিল যে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় হয়তো শুভেন্দু অধিকারী সাথেই বিজেপিতে যোগদান করবেন। এমনকি রাজ্যের জেলায় জেলায় পড়েছিল এই নিয়ে পোস্টার। সবাই ভেবেছিল রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দু অধিকারীর মার্গ বেছে নেবে। কিন্তু তখন পার্থ চট্টোপাধ্যায় এর সাথে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠক করার পর খেলা ঘুরে যায়। কিন্তু তা ছিল সাময়িক। এখনো যে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মানভঞ্জন যে হয়নি তা একপ্রকার স্পষ্ট। এবার আর তৃণমূল তাদের কোনো নেতাকে বিজেপিতে যেতে দিতে চায় না। তাই পরিস্থিতি সামলাতে মাঠে নেমে পড়েছেন খোদ ফিরহাদ হাকিম।