Trending

Video

Shorts

whatsapp [#128] Created with Sketch.

Join

Follow

প্রথমে গ্রেফতার, পরে জামিনে মুক্তি পেলেন বাংলার দুই বিজেপি সাংসদ

নিজস্ব প্রতিনিধি: বিনা অনুমতিতে মালদহে গিয়ে গ্রেফতার হলেন দুই সাংসদ। একজন কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক, দ্বিতীয়জন মালদহ উত্তরের সাংসদ খগেন মুর্মু। তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় ইংরেজবাজার থানায়। পরে অবশ্য ব্যক্তিগত…

Avatar

নিজস্ব প্রতিনিধি: বিনা অনুমতিতে মালদহে গিয়ে গ্রেফতার হলেন দুই সাংসদ। একজন কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক, দ্বিতীয়জন মালদহ উত্তরের সাংসদ খগেন মুর্মু। তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় ইংরেজবাজার থানায়। পরে অবশ্য ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দেওয়া হয়।

গত কয়েকদিন ধরে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ ঘিরে উত্তপ্ত রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা। এর মধ্যে সর্বাগ্রে রয়েছে মালদহ ও মুর্শিদাবাদ জেলার নাম। বিক্ষোভের জেরে মালদহের বিভিন্ন রেল স্টেশনে তাণ্ডব চলেছে গত কয়েকদিন ধরে। শিরোনামে উঠে এসেছে ভালুকা রোড স্টেশন ও হরিশচন্দ্রপুর স্টেশনের নাম। বুধবার সেই স্টেশনগুলি ঘুরে দেখতে গিয়েছিলেন দুই বিজেপি সাংসদ। এদিকে জেলা পুলিশের বক্তব্য, এখন যা পরিস্থিতি তাতে বিজেপি নেতৃত্বের সেখানে যাওয়া ভস্মে ঘি ঢালার সমান। তাই নিষেধাজ্ঞা ছিলই। কিন্তু সাংসদদ্বয় তা মানতে চাননি।

সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻

Join Now

স্থানীয় সূত্রে খবর, ভালুকার দিকে যাওয়ার সময় তাঁদের পথ আটকায় পুলিশ। ইংরেজবাজার শহরে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে আটকে দেওয়া হয় তাঁদের গাড়ি। অভিযোগ, প্রতিবাদে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে বিক্ষোভ শুরু করেন দুই সাংসদ ও তাঁদের সঙ্গীরা।

আরও পড়ুন : নাগরিকত্ব আইনের আরেকটি পরিণতি, শেষ মুহুর্তে ভারতের সাথে নদী সংক্রান্ত আলোচনা বাতিল করল বাংলাদেশ

নতুন করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠার অবস্থা তৈরি হয়। বারবার পুলিশ তাঁদের বিক্ষোভ তুলে নিতে বললেও তাতে তাঁরা রাজি হননি বলে অভিযোগ। এরপরই দুই সাংসদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নিয়ে যাওয়া হয় ইংরেজবাজার থানায়। প্রায় দু’ঘণ্টা বসিয়ে রাখার পর ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দেওয়া হয়।

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল আইনে পরিনত হতেই তোলপাড় দেশ। আগুন জ্বলেছে এ রাজ্যেও। রাজ্যের বিভিন্ন রেল স্টেশনে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। জ্বালানো হয়েছে ট্রেনও। মালদহের ভালুকা, হরিশচন্দ্রপুরের ছবি এক্ষেত্রে মারাত্মক। একের পর এক ট্রেন বাতিল করতে হয়েছে। বুধবার পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাওয়ার পরিকল্পনা নেন রাজ্যের দুই সাংসদ। কিন্তু পুলিশের অনুমোদন মেলেনি। উল্টে গ্রেফতারি, বিক্ষোভে অশান্ত হয়ে ওঠে এলাকা।

About Author