ইন্টারনেটের যুগে ৮ থেকে ৮০ এখন সকলেই বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াকে। এই সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে আজকাল রাতারাতি মানুষ সুপারস্টার হয়ে যাচ্ছেন। বিশ্বাস না হলে একটা উদাহরণই যথেষ্ট। আশা করি সকলেই রানাঘাটের রানু মন্ডলের নাম শুনেছেন। একটি মাত্র ভাইরাল ভিডিওর দৌলতে রানাঘাটের রেল স্টেশনের ভিখারিনী হয়ে গিয়েছিলেন মুম্বাইয়ের নামজাদা তারকা। তবে বর্তমানে পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছে অনেকটাই। কিন্তু সবকিছুর মাঝেও তৈরি হচ্ছে রানু মন্ডলের বায়োপিক। নাম ‘এক পেয়ার কা নাগমা হে’। সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসছে রানু মন্ডলের বায়োপিকের প্রথম ঝলক যা নিয়ে রীতিমত হইচই পড়ে গিয়েছে ইন্টারনেট মহলে।
রানু মন্ডলের বায়োপিকে ফুটে উঠবে রানাঘাট থেকে মুম্বাইয়ের যাত্রা। প্রতিভার দমে স্বপ্ননগরী মুম্বাই যাওয়া অনেকেরই স্বপ্ন। আর সেই স্বপ্ন কি করে বাস্তব জীবনে হয়েছে তারই প্রতিচ্ছবি এই বায়োপিক। এই সিনেমাটি পরিচালনা করছেন ঋষিকেশ মন্ডল। মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন সেক্রেড গেমস খ্যাত অভিনেত্রী ঈশিকা দে। এই সিনেমা দেখানো হয়েছে রানু মন্ডলের যৌবন এবং তার জীবনের ওঠা নামার কাহিনী।
মূলত রানাঘাটে স্টেশনে খালি গলায় গান করছিলেন রানু মন্ডল। সমাজসেবী অতীন্দ রায় সেই ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেন এবং সেখান থেকেই ভাগ্য বদলে যায় রানু মন্ডলের। ভিডিও মুহূর্তের মধ্যে ব্যাপক ভাইরাল হয়ে যায় এবং দেশের কোনায় কোনায় ছড়িয়ে যায়। রানাঘাটের ৬ নম্বর প্লাটফর্ম থেকে রানু মন্ডল সোজা পাড়ি দেন মুম্বাইয়ের স্টুডিওতে। হিমেশ রেশমিয়ার সাথে “তেরি মেরি কাহানি” ডুয়েট গান গেয়েছিলেন রানু। তারপর অবশ্যই বছর না ঘুরতেই আবারো রানাঘাটে ফিরে আসতে হয় রানু মন্ডলকে। বর্তমানে স্থানীয় কিছু মানুষ এবং ক্লাবের দয়াতে দিন চলে রানু মণ্ডলের। এই সিনেমা রিলিজ করলে যে ব্যাপক জনপ্রিয় হবে তা আলাদাভাবে বলার কোনো দরকার পড়ে না।