সোমবার সিয়াটেলে করোনা ভাইরাসের সম্ভাব্য প্রতিষেধক স্যারস-কোভি ২-এর পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু করা হয়েছিল। সেই কাজে প্রাথমিক ভাবে এক ব্যক্তি প্রতিষেধক নিজের শরীরে গ্রহণের জন্য এগিয়ে আসেন। আমেরিকার জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটস (এনআইএইচ)-এর গবেষকদের সঙ্গে সম্মিলিত ভাবে জৈবপ্রযুক্তি সংস্থা মোদার্না এই প্রতিষেধকটি তৈরি করেছে। সিয়াটেলের কায়সার পারমানেন্ট ওয়াশিংটন স্বাস্থ্য গবেষণা ইনস্টিটিউটে এই প্রতিষেধকের প্রাথমিক পরীক্ষা চলছে।
প্রথম পর্বের গবেষণায় এমআরএনএ-১২৭৩ প্রতিষেধকটির তিনটি ভিন্ন ডোজ পরীক্ষা করার লক্ষ্যে প্রাথমিক ভাবে ৪৫ জন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির প্রয়োজন পড়বে। অংশগ্রহণকারীরা ২৮ দিন বাদে দুটি ভ্যাকসিন গ্রহণ করবেন এবং ভ্যাকসিনের সুরক্ষা ও প্রতিরোধ ক্ষমতা উভয়ই মূল্যায়ন করার জন্য তাদের উপর নজরদারি চালানো হবে। পরেরটিতে সারস-কোভি 2 করোনা ভাইরাস শরীরের কোনও প্রোটিনের প্রতিরোধ ক্ষমতা কতটা প্রভাবিত করতে পারে তা ভালো ভাবে খতিয়ে দেখা হবে।
আরও পড়ুন : পশ্চিমবঙ্গে প্রথম যুবকের শরীরে মিলল করোনা জীবাণু, ভর্তি বেলেঘাটা আইডিতে
এই ভ্যাকসিনটি প্রথম যে ব্যক্তির উপর প্রয়োগ করা হয়, সিয়াটেলের ৪৩ বছর বয়সী জেনিফার হালার নামে সেই ব্যক্তি সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেন, ‘আমি আশা করছি যে, আমরা দ্রুত একটি কার্যকরী ভ্যাকসিন পেয়ে যাব। আমরা অনেক জীবন বাঁচাতে পারবো এবং মানুষ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারবে।’
‘এই গবেষণাটি এসএআরএস-কোভি-২ এর বিরুদ্ধে এমআরএনএ ভ্যাকসিনের ক্লিনিকাল বিকাশের প্রথম পদক্ষেপ। আমরা এটির নিরাপত্তা এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ার চেষ্টা করছি।’ মোর্দানায় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন প্রধান মেডিক্যাল অফিসার তাল জ্যাকস।