দিল্লি এনসিআর, উত্তর প্রদেশ, বিহারের মত জায়গা থেকে ভারী বৃষ্টিপাত মুক্তি পেয়েছে অনেক আগেই। উত্তর ভারত থেকে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু বিদায় নিয়েছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত দক্ষিণ ভারত এবং মধ্য ভারতের বেশ কিছু অঞ্চলে বৃষ্টির প্রভাব রয়েছে বেশ ভালোমতো। মহারাষ্ট্রের পুনে থানে থেকে শুরু করে কর্ণাটক এবং কেরল পর্যন্ত সর্বত্র হচ্ছে বৃষ্টি। অন্যদিকে আবার আইএমডির ওয়েদার আপডেট অনুযায়ী বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে একটি বিশেষ ঘূর্ণাবর্ত, যার কারণে আবহাওয়া আরো একবার বড় পরিবর্তন হতে পারে বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া দপ্তর।
আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী আজকের কলকাতার আবহাওয়া থাকবে মূলত অস্বস্তিকর। অংশতো মেঘলা আকাশ থাকা সম্ভাবনা আছে। বেড়া বাড়লে হালকা থেকে মাঝারি বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত হবার সম্ভাবনা রয়েছে। আপেক্ষিক আর্দ্রতার সর্বোচ্চ পরিমাণ হতে পারে ৭৬ শতাংশ। ফলে ফিল লাইক তাপমাত্রা হতে পারে সর্বোচ্চ ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে একই ধরনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে। ভোরের দিকে হালকা তাপমাত্রা নিচের দিকে নামতে পারে। উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টির দাপট রয়েছে এবং ভোরের দিকে হালকা শিরশিরে অনুভূতি রয়েছে।
ভারতের মৌসম বিভাগ মঙ্গলবার জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরের খাড়িতে নিম্নচাপ ক্ষেত্রে তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা শুরু হয়েছে। এর কারণে সপ্তাহ আনতে সাইক্লোন তৈরি হওয়ার একটা সম্ভাবনা রয়েছে। ভারতের মৌসম বিভাগ অনুযায়ী আগামী ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরের খাড়িতে দক্ষিণ-পশ্চিম এবং তা সংলগ্ন পূর্ব ও মধ্যভাগে নিম্নচাপ ক্ষেত্রে তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই নিম্নচক ক্ষেত্রের কারণে ২২ অক্টোবর সকাল নাগাদ বঙ্গোপসাগরের মধ্যে নিম্নচাপ ক্ষেত্রে তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ভারতের মৌসম বিভাগের খবর অনুযায়ী, বঙ্গোপসাগরের এই পরিস্থিতি সাইক্লনিক স্টরমে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আইএমডি-র মহানির্দেশক মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র জানিয়েছেন, নিম্নচক্ষেত্রের সাইক্লোনে পরিণত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এই সাইক্লোন এর তীব্রতা আর পথের বিষয়ে কোন পূর্ব অনুমান করা যাচ্ছে না। তিনি আরো জানাচ্ছেন, নিম্নচাপ ক্ষেত্র এবং তার পরের সাইক্লোনের বিষয়ে আরো তথ্য পরবর্তীতে সামনে আসবে। মৌসম ভবনের পূর্বাভাসের উপর ভিত্তি করে ওড়িশা সরকার ২৩ থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত সরকারি কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করেছে। রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পর ঝাড়খন্ড থেকে বিহার এবং উড়িষ্যা পর্যন্ত আবহাওয়ায় ব্যাপক রদবদল হতে পারে। এই রাজ্যগুলিতে উইকেন্ডে আবহাওয়ার বিরূপতা দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে
অন্যদিকে পূর্বাভাসে আরো বলা হয়েছে, ছত্রিশগড়, মহারাষ্ট্র, ঝাড়খন্ড, উড়িষ্যা এবং পশ্চিমবঙ্গের কিছু এলাকা থেকে মৌসুমী বায়ু প্রত্যাবর্তন করতে পারে। অন্যদিকে বঙ্গোপসাগরের পাশাপাশি আরব সাগরে মহারাষ্ট্রের কাছেই একটি সাইক্লোন তৈরি হবার সম্ভাবনা রয়েছে। স্কাইমেটের ওয়েদার আপডেট অনুযায়ী বুধবার দক্ষিণ ভারতের একাধিক রাজ্যে প্রবল বৃষ্টির আশঙ্কা জারি করা হয়েছে। মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, মনিপুর, মিজোরাম, উড়িষ্যা, ছত্রিশগড়, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, নাগাল্যান্ড, কেরল এবং পশ্চিমবঙ্গে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।