বাংলার ফুটবলের কথা উঠলেই প্রধান দু’দলের কথা অনায়াসে ফুটবলার থেকে ফুটবলপ্রেমী সকলের মুখে চলে আসে। প্রথম দল মোহনবাগান, দ্বিতীয় দল ইস্টবেঙ্গল। চির ঐতিহাসিক এই দুই দলের খেলা যে টুর্নামেন্টেই থাকুক না কেন, শুধু দেশ নয়, বিদেশের তাবড় তাবড় ফুটবল তারকারাও এদের ম্যাচ দেখার জন্য টেলিভিশনের পর্দায় চোখ রাখেন। সম্প্রতি এবারের আইএসএলে বাংলার প্রধান দুই দল খেলার সুযোগ পেয়েছে। যদিও মোহনবাগান জোট বেঁধেছে এটিকের সঙ্গে, তবুও ইস্টবেঙ্গল একাই লড়ছে। স্পনসর সমস্যা মিটিয়ে আইএসএল শুরু হওয়ার দু-তিন সপ্তাহ আগে খেলার ছাড়পত্র পায় মশাল বাহিনী। কিন্তু হাতে কম সময়ে ছিল বলেই কি পাঁচ ম্যাচ শেষেও জয়ের মুখ দেখেনি ইস্টবেঙ্গল। নতুন স্পনসর নিয়ে খেলতে নামলেও খেলার মধ্যে নতুনত্ব তো দূরে থাক, পুরনো ছকটাও কেউ খুঁজে পাচ্ছে না। এমনকি ইস্টবেঙ্গলের করুণ অবস্থা দেখে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন দলের প্রাক্তনরা। ব্রাজিল হোক বা কোস্টারিকা। আইএসএলে লাল-হলুদের দুর্দশা ছুঁয়ে গেছে ডগলাস দ্য সিলভা থেকে হালফিলের বিশ্বকাপার জনি অ্যাকোস্টাকে।
সপ্তম আইএসএলে একের পর এক ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলকে হারতে দেখে কার্যত হতাশাগ্রস্থ অ্যাকোস্টা। তিনি বলেই ফেললেন, ‘আমি তৈরি আবারও লাল-হলুদ জার্সি পড়ে মাঠে নেমে পড়তে। ক্লাব শুধু একবার ডাকুক। এর আগেও তো ডেকেছে। ক্লাবের স্বার্থে কলকাতা উড়ে গিয়ে দলের জন্য উজাড় করে দিয়েছি। আবারও ডাকলে আবারও ছুটে যাব।’ অন্যদিকে, হতাশার পাশাপাশি কিছুটা হলেও ক্ষোভে ফুঁসছেন ডগলাস। তিনি বলেন, ‘এই বয়সেও মাঠে নেমে পড়লে এদের থেকে খারাপ খেলব না। লাল-হলুদ জার্সির রং আমাকে এখনও আবেগতাড়িত করে। দলটা আরও গুছিয়ে নেওয়া গেল না? একজনও ম্যাচ ফিট নয়। ক্লাবকে ৩ জন ফুটবলারের বায়োডাটা পাঠিয়েছিলাম। ক্লাব নিল না। নিলে আজকের এই দিনটা দেখতে হতো না।’ এভাবেই নিজের মনের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ডগলাস।
প্রসঙ্গত, আগামী রবিবার ইস্টবেঙ্গলের ছয় নম্বর ম্যাচ। বিপক্ষ দল কিবু ভিকুনার কেরালা ব্লাস্টার্স। সচিনের দলও পাঁচ ম্যাচ খেলে একটা ম্যাচ এখনও পর্যন্ত জিততে পারেনি। এরকম দুর্বলদের বিরুদ্ধেও কি হতশ্রী পারফরম্যান্স করবে ফাউলারের ছেলেরা? নাকি ঘুরে দাঁড়িয়ে জয়ের সরণিতে ফিরে আসবে? রবিবাসরীয় ম্যাচে কী হয়, এখন সেটাই দেখার।