বলিউডবিনোদন

চারটে বিলাসবহুল গাড়ি, চোখ ধাঁধানো বাড়ি, পরিবারের জন্য কি কি রেখে গেলেন সংগীতশিল্পী কেকে?

মুম্বাইয়ের ভারসোভা এলাকায় একটি চোখ-ধাঁধানো বাড়ি রয়েছে তার

Advertisement

মার্কেটিং এর চাকরি ছেড়ে দিয়ে গায়ক হয়ে ওঠাই স্বপ্ন ছিল কেকের। স্বপ্নপূরণের রাস্তা টা খুব একটা সহজ ছিল না। তিনি কোনোভাবেই বলিউডে তেমন কাউকে চিনতেন না। এই কারণে প্রথমেই বলিউডে গান গাওয়ার সুযোগ পাননি। প্রথমে বিজ্ঞাপনে নেপথ্য সঙ্গীত করে পেলেন পরিচিতি। তারপর ধীরে ধীরে ধারাবাহিক এবং তার অনেকটাই পরে এলো বলিউড সিনেমায় গান করার সুযোগ। এরপর কেকের ঝুলিতে একাধিক সুপার হিট গান। প্রথম অ্যালবাম পল থেকেই তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয়। ‘ইয়ারো দোস্তি বাড়ি হাসিন হে’ এই গানটি এখনো তরুণ প্রজন্মের কণ্ঠে জীবিত রয়েছে।

এ আর রহমানের সংগীত পরিচালনায় গান গাওয়া শুরু হলেও সে গান খুব একটা হিট হয়নি। তারপরে তার জীবনের সবথেকে বড় ব্রেক হিসেবে সামনে এল হাম দিল দে চুকে সানাম। এই সিনেমার ‘তরপ তরপ কে’ গানটি হয়ে উঠল তুমুল জনপ্রিয়। তারপর থেকে একের পর এক ওম শান্তি ওম, দশ, বচনা এ হাসিনো, জান্নাতের মতো সিনেমার গান করে দর্শকদের মনে জায়গা করে নিলেন কে কে। শুধু হিন্দি নয় তামিল-তেলেগু মারাঠি কন্নড় এবং বাংলা ভাষাতেও একাধিক গান করলেন তিনি।

তার সম্পত্তির পরিমাণ নেহাত কম নয়। একটি ইংরেজী ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি খবর অনুযায়ী মার্কিন ডলারে কেকের সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ১.৫ মিলিয়ন ডলার। প্রতি গান গাওয়ার জন্য কে কে পারিশ্রমিক নিয়েছেন প্রায় ছয় থেকে সাত লক্ষ টাকা। অন্যদিকে লাইভ কনসার্ট এর জন্য তিনি পারিশ্রমিক নিয়েছেন ১০ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা। মুম্বাইয়ের ভারসোভা এলাকায় একটি চোখ-ধাঁধানো বাড়ি রয়েছে তার। দামি গাড়ি চড়তে পছন্দ করতেন তিনি। তার গ্যারাজে চারটি বিলাসবহুল গাড়ি রয়েছে।

কে কে ব্যবহার করতেন অডি, জিপ এবং মার্সিডিজ কোম্পানির গাড়ি। মাঝেমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় গাড়ির ছবি পোস্ট করতেন তিনি। কিন্তু মঙ্গলবার নজরুল মঞ্চের একটি কলেজের অনুষ্ঠানে গান করতে করতেই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন সংগীতশিল্পী। তারপর সেখান থেকেই শহরের একটি পাঁচতারা হোটেলে ফিরে যান। সেখানেই অসুস্থ বোধ করলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে সিএমআরআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতলে শিল্পীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

Related Articles

Back to top button