প্রত্যেক বছর হবে এসএসসিতে শিক্ষক নিয়োগ, ঘোষণা ব্রাত্যর
হাইকোর্টে বহু পুরনো উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগ মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার পরে বেশ কিছুটা হাঁফ ছেড়ে বাঁচে রাজ্য সরকার এবং এসএসসি কমিশন।
হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী এবার থেকে উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ হতে পারে শিক্ষক। তার ফলে কিছুটা হলেও হাফ ছেড়ে বেঁচেছে রাজ্য সরকার। হাইকোর্ট জানিয়েছে আগামী বুধবারের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে দিতে হবে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে। এছাড়া নতুন যে ইন্টারভিউ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে তা আদালতে দ্বারা গৃহীত হয়েছে। এর ফলে সব দিক থেকেই মোটামুটি স্বস্তিতে আছে রাজ্য সরকার এবং স্কুল সার্ভিস কমিশন।
এবারে তার পরিপ্রেক্ষিতে বেশ বড় একটি ঘোষণা করলেন রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী মাননীয় ব্রাত্য বসু। তিনি জানিয়ে দিলেন, এবার থেকে প্রত্যেক বছর শিক্ষক নিয়োগের জন্য টেট এবং এসএসসি পরীক্ষা নেওয়া হবে। এছাড়াও প্রত্যেক বছর নিয়োগ করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। এসএসসি নিয়োগ নিয়ে, শনিবার প্রেস কনফারেন্স করার কথা শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসুর।
গতকাল হাইকোর্টে তরফে জানানো হয়েছিল নিয়োগে অত্যন্ত দেরি হয়েছে ফলে চাকরিপ্রার্থীদের বয়সের ক্ষেত্রে পাঁচ বছরের ছাড় দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। সেই আদেশ রাজ্য সরকার মানতে প্রস্তুত এবং গতকাল হাইকোর্টের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে আজকে কমিশন শিক্ষক নিয়োগের সম্পূর্ণ রূপরেখা দিয়ে দেবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।হাইকোর্টের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষা মন্ত্রী বলেছেন, মামলা না করে সকলের নিয়োগ নিয়ে ভাবা উচিত। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ করা হবে। মামলা যেগুলো চলছে তা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক আঙ্গিনায় পৌঁছে গিয়েছে। কিন্তু শিক্ষক নিয়োগের সঙ্গে বহু ছাত্র ছাত্রীর ভবিষ্যৎ জড়িয়ে রয়েছে। তাই আমাদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শিক্ষক নিয়োগ শুরু করা উচিত।
উল্লেখযোগ্য, দীর্ঘ প্রায় ছয় বছর ধরে এসএসসি পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে।। টেট পরীক্ষা হয়েছিল শেষ ২০১৫ সালে ১৬ আগস্ট। তারপর থেকে ইন্টারভিউ তালিকা প্রকাশিত হলেও বারবার মামলা করার কারণে সেই সমস্ত ইন্টারভিউ তালিকা এবং নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে যাচ্ছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন তিনি পুজোর আগে বেশ কয়েকজন শিক্ষক নিয়োগ করবেন। কিন্তু সেই প্লান ভেস্তে যায় যখন নতুন লিস্ট বের করার পরেও আবারো মামলা করে দেওয়া হয় হাইকোর্টে। গতকাল কলকাতা হাইকোর্টে ৬ বছরের পুরনো মামলা নিষ্পত্তি করেছে এবং এসএসসি কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছে যেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হয়।