নিউজপলিটিক্সরাজ্য

এইবার ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবে মমতা সরকারের রিপোর্ট কার্ড, জানিয়ে দিল শাসক শিবির

Advertisement

এইবার তৃণমূল কংগ্রেসের আসতে চলেছে রিপোর্ট কার্ড। গত দশ বছরে মমতা সরকার কি কাজ করেছে মানুষের জন্য তা খতিয়ে দেখে তুলে ধরা হবে এই রিপোর্ট কার্ডের মাধ্যমে। এখন ‘দিদিকে বলো’, ‘বাংলার গর্ব মমতা’ এর পর এইবার চালু করা হচ্ছে নতুন প্রকল্প ‘বঙ্গধ্বনি’। যার মাধ্যমে মানুষের দুয়ারে পৌঁছে যাবেন জনপ্রতিনিধিরা। পৌঁছে যাবেন সাংগঠনিক পদের ব্যক্তিরাও। তারাই মানুষের কাছে তুলে দেবেন খতিয়ান। সেই উন্নয়নের চেহারা প্রকাশ করা হবে এই রিপোর্ট কার্ডের মাধ্যমে।

গত ১০ বছরে রাস্তা থেকে পানিয় জল, বিদ্যুৎ থেকে সকলের জন্য খাদ্য, স্বাস্থ্য সাথীর মতো বিশেষ সুবিধাও আনছে রাজ্য সরকার। বিরোধীরা উন্নয়নের বিষয়ে একাধিকার আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি। তবু তৃণমূলের লোকেরা পৌঁছে যাবে খতিয়ান নিয়ে বাড়িতে বাড়িতে। সেই উন্নয়নের ওপরেই মানুষ রাখবে আস্থা। তাই আগামীকাল থেকেই প্রচারে নেমে পড়তে চলেছে রাজ্যের শাসক শিবির।

পেশ করা হবে ১০ বছরের রিপোর্ট কার্ড। এরপর কলকাতা দফতরের লোকেরা সাংবাদিক সম্মেলন করে জানাবেন সেই রিপোর্ট কার্ড সম্পর্কে। কলকাতায় এবং প্রতি জেলায় মানুষের কাছে এই রিপোর্ট কার্ড পৌঁছে দেবেন মন্ত্রীরা। শুক্রবার প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে সাংবাদিক সম্মেলন করে শুরু করা হবে বঙ্গোধ্বনি যাত্রার প্রচার অভিযান। আগামী ১০ দিনে প্রতিটি কেন্দ্রে তিন থেকে পাঁচটি দল যাত্রা শুরু করবে বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকার কর্তৃপক্ষ। জনা গিয়েছে যে, এই যাত্রায় ৯৫০ টি দল গঠন করবে শাসক শিবির। তারা যাবেন ২৭ হাজার ৫০০ টি এলাকায়। এর সাথে থাকবে দিদিকে বলো পকেট ক্যালেন্ডার।

এই কর্মসূচি বাস্তবায়িত করতে ইতিমধ্যে প্রতি বিধানসভায় গঠন করা হয়েছে তিনটি দল। যারা নিজেদের এলাকায় সম্পন্ন করবে সমস্ত কাজ। এই তিন দলের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে প্রথম শ্রেণীর দল। তারাই পরিচালনা করবেন এই অভিযান। যেখানে দলীয় প্রতীক এবং নেত্রীর ছবি থাকবে। প্রতি মিনিটে রিপোর্ট পাঠানো হবে দলের শীর্ষ নেতাদের কাছে।

সূত্র হতে জানা গিয়েছে, গত ১.৫ বছরে ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের দল যে কাজ করবে তার ভিত্তিতেই এই পরিকল্পনা। দিল্লি বিধানসভা ভোটে উন্নয়নকে সামনে রেখেই জবাব দিয়েছিল কেজরীওয়াল। সেই উন্নয়নকে সামনে রেখেই এইবার ২১ এর ভোটের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ছে তৃণমূল।

Related Articles

Back to top button