বলিউড গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ডে তারকাদের অভিনয় দক্ষতা থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত জীবন, সবই নেটিজেনদের চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসে। বিশেষ করে তারকাদের বিভিন্ন ফ্যাশন সেন্স বা তাদের পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন না জানা কথা সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্যাপক ভাইরাল হয়ে থাকে মাঝে মধ্যেই। যারা বলি সিনেমার ফ্যান তাঁরা অবশ্যই শোলে সিনেমাটি দেখেছেন। এই সিনেমার গব্বর এখনও অব্দি নেতিবাচক চরিত্র হিসাবে প্রশংসা পায়। এখনও মানুষকে ভয় দেখানোর জন্য একটাই শব্দ যথেষ্ঠ, “গব্বর”। এই আইকনিক চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন আমজাদ খান। তাঁর অভিনয়ের ফ্যান সকলেই। তবে আজকের এই প্রতিবেদন ঠিক আমজাদ খানকে নিয়ে নয়।
আমজাদ খান তাঁর ৩০ বছরের দীর্ঘ চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারে ১৩০ টিরও বেশি ছবিতে কাজ করেছেন। কিন্তু এই জনপ্রিয় অভিনেতার পরিবারের সদস্য সম্পর্কে অনেকেই হয়তো জানেন না তাঁর সন্তানদের কথা। আমজাদ খানের তিন সন্তান, দুই ছেলে ও এক মেয়ে। আমজাদ খানের এক কন্যা রয়েছে যার নাম আহলাম খান। আপনি জানলে অবাক হবেন, এই আহলাম খানের সৌন্দর্যের সামনে ফিকে হয়ে যায় তাবড় তাবড় বলিউড অভিনেত্রী। তবে অনেকেই আফসোস করেন কেন এই আহলাম খানকে খুব একটা বেশি সিনেমার জগতে দেখা যায় না।
২০১১ সালে তিনি বিবাহ করেছিলেন একজন থিয়েটার আর্টিস্ট জফর করাচিওয়ালাকে। তবে তাদের ওয়েডিং রিসেপশন অত্যন্ত সিক্রেট দেখা হয়েছিল এবং এই অনুষ্ঠানে শুধু মাত্র পরিবারের লোকজন এবং খুব কাছের লোক জন উপস্থিত ছিলেন। তার অভিনয় দক্ষতা থাকলেও তিনি বলিউডে নিজের নাম লেখাননি। বরং তার থেকেও বড় কথা, তিনি বলিউড থেকে সম্পূর্ণ দূরে থাকার চেষ্টা করেন এই মুহূর্তে। তাকে মাঝেমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়াতে দেখা যায় বিভিন্ন ছবি পোস্ট করতে তবে তার অ্যাকাউন্ট কিন্তু প্রাইভেট।
বাবার মতোই আহলাম খান অভিনয় দক্ষতায় ব্যাপক পারদর্শী। বেশ কয়েকটি সিনেমাতে তিনি অভিনয় করেছেন। তবে বর্তমানে তিনি থিয়েটার শিল্পের সাথে যুক্ত। ২০০৫ সালে “রিলেশনশিপ” সিনেমা দিয়ে লাইমলাইটে এসেছিলেন তিনি। এটি মালায়ালাম সুপারস্টার মোহনলালের একটি সুপারহিট শর্ট ফ্লিম। তবে তারপর থেকে তিনি সিনেমা জগৎ থেকে সম্পূর্ণ হারিয়ে যান।