আজ গঙ্গাসাগরে মকর সংক্রান্তিতে পুণ্যার্থীরা ভিড় জমিয়েছেন গঙ্গাসাগরে স্নান করার জন্য। অন্য বছর গুলিতে ভিড় অনেক বেশি থাকে। কিন্তু এই বছর করোনা ভাইরাসের কারণে ভিড় অনেকটাই কম। ভিন রাজ্য থেকে আসা পুণ্যার্থীদের সংখ্যা বেশ কিছুটা কম এই বছর। এই কারণে গঙ্গাসাগরে এবছর তেমন একটা ভীড় চোখে পড়ছে না। তবু সম্পূর্ণ পরিস্থিতি একেবারে নিয়ন্ত্রনে রাখার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে নিরাপত্তা রক্ষী বাহিনী। সব দিকে কড়া নজর রাখতে তারা সব সময় প্রস্তুত।
বহু প্রতিক্ষার শেষ করার পরে বুধবার শর্তসাপেক্ষে গঙ্গাসাগরে স্নান এর অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি বি এন রাধাকৃষ্ণন এবং বিচারপতি অরিজিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ যদিও সব থেকে বেশি জোর দিয়েছেন ই স্নানের উপরে। সমুদ্রস্নানের অনুমতি মিললেও সম্পূর্ণটা শর্তসাপেক্ষে রাখা হয়েছে। করনা ভাইরাসের আবহে গঙ্গাসাগরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন অজয় দে নামের এক ব্যক্তি। তার সাথেই, সাগর মেলা প্রাঙ্গণ এবং বাবুঘাটে মেলার মাঠ কে কনটেইনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করার আর্জি জানানো হয়েছে।
তবে ভিন রাজ্য থেকে এ বছর অনেক কম পুণ্যার্থী গঙ্গাসাগরে এসেছেন। এই কারণে গঙ্গাসাগরে ভিড়ের পরিমাণে বছর অনেকটা কম। কড়া নজরদারি রাখতে উপকূল রক্ষী এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। নৌ বাহিনী নিরাপত্তায় সহায়তা করতে প্রস্তুত। গঙ্গাসাগরের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকে আপনারা গঙ্গা সাগরের জল এবছর অর্ডার দিয়ে বাড়িতে আনতে পারেন। তার ফলে বাড়িতে বসেই আপনার গঙ্গাসাগরে স্নান হয়ে যেতে পারে।