গোটা দেশে চলছে ২১ দিনের লকডাউন। ২১ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে এই লকডাউন। লকডাউনের ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী মজুত করতে উঠেপড়ে লেগেছে সাধারণ মানুষ। আর এরফলেই টান পড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর। চাল, ডালের সাথে আর একটা গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হলো রান্নার গ্যাস। অন্য জিনিসের মতো রান্নার গ্যাসও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই লকডাউনের পরিস্থিতিতে ঘরে যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে রান্নার গ্যাস থাকে তার জন্যে গ্যাস বুকিং এর মাত্রা বেড়েছে কয়েকগুণ। জানাচ্ছে তেল সংস্থা গুলি।
লকডাউনের আতঙ্কে প্রতিদিনই গ্যাস বুকিং করছেন অসংখ্য মানুষ। শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই গ্যাস সিলিন্ডারের চাহিদা ৩০% বেড়েছে বলে জানাচ্ছে গ্যাস সরবরাহকারী সংস্থা গুলি। ইন্ডিয়ান অয়েলের এক আধিকারিক জানাচ্ছেন, গত এক সপ্তাহে এলপিজি গ্যাসের চাহিদা বেড়েছে ৩০ শতাংশেরও বেশি। এই অবস্থায় সমস্ত গ্যাস সরবরাহকারী সংস্থা গুলির পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষকে অনুরোধ করা হয়েছে, এভাবে আতঙ্কে ভুগে গ্যাস বুকিং না করার জন্য।
ইন্ডিয়ান অয়েল জানিয়েছে, আগে যেখানে রাজ্যে ২.৫ মিলিয়ন গ্যাস বুকিং হতো এখন সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩.৫ মিলিয়ন। রাজ্যে যথেষ্ট পরিমাণে গ্যাস সিলিন্ডার মজুত আছে বলে জানানো হয়েছে ইন্ডিয়ান অয়েলের পক্ষ থেকে। গ্যাস রিফিল সেন্টার গুলিও পুরোদমে চলছে। তাই অযথা আতঙ্কিত হয়ে গ্রাহকদের গ্যাস বুকিং করা থেকে বিরত থাকতে বলা হচ্ছে তেল সংস্থা গুলির তরফে। আতঙ্কের কারণে এইভাবে গ্যাস বুকিং করা চলতে থাকলে সরবরাহ এবং রক্ষণাবেক্ষনে খুবই সমস্যা হবে বলে জানিয়েছে ইন্ডিয়ান অয়েল।
গ্রাহকদের তরফে আবার তেল সংস্থা গুলির উপরেই অভিযোগ করা হচ্ছে। গ্রাহকদের অভিযোগ, সিলিন্ডার বুক করলেও তা পেতে দেরি হচ্ছে। নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে আসছে। সিলিন্ডার আসলেও তা বাড়ি পৌঁছে দিতে দেখা পাওয়া যাচ্ছেনা ডেলিভারি বয়দের। সংস্থা গুলির তরফে বলা হচ্ছে, এই অবস্থায় ডেলিভারি বয়রা কাজে যোগ দিতে চাইছেন না। ফলে ডেলিভারি বয়দের দেখা পাওয়া যাচ্ছেনা। সংস্থা গুলির মতে গ্রাহকরা আতঙ্কিত হয়ে বেশি বুকিং করা বন্ধ করলেই সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।