এমনিতেই বাজারে জিনিসপত্রের দাম ঊর্ধ্বমুখী। সেই পরিস্থিতিতে রান্নার গ্যাসের দাম বাড়লে তা সরাসরি প্রভাব ফেলে মধ্যবিত্তের রান্নাঘরে। নাজেহাল আম আদমির অবস্থা। গত ডিসেম্বরে ১৪.২ কেজি ওজনের এলপিজি সিলিন্ডারের দাম দু’টি পর্যায়ে বেড়েছিল ১০০ টাকা।
সাধারণত প্রতিমাসের ১ তারিখেই ভরতুকিহীন এলপিজি সিলিন্ডারের সংশোধিত মূল্য প্রকাশিত হয়। প্রতি মাসের প্রথম দিন থেকেই এই পরিবর্তন কার্যকর হয়ে থাকে। স্থানীয়স্তরের করের হেরফেরের কারণে রান্নার গ্যাসের দাম দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকমের।
আজ শুরু হল ২০২১ সাল। ফলে নতুন বছরের প্রথম মাসে রান্নার গ্যাসের দাম কী হবে তা নিয়ে চিন্তায় ছিল মধ্যবিত্ত। আম আদমির জন্য আপাতত স্বস্তির খবর। জানুয়ারি মাসে আপাতত রান্নার গ্যাসের দাম না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তেল কোম্পানিগুলি। আজ, শুক্রবার, ১ জানুয়ারি থেকে কলকাতায় গার্হস্থ্য ১৪.২ কিলোগ্রাম এলপিজি সিলিন্ডারের দাম একই থাকছে। অর্থাৎ, ৭২০ টাকা ৫০ পয়সা। তবে ১৯ কিলো নন-ডমেস্টিক সিলিন্ডারের দাম ২২ টাকা ৫০ পয়সা বেড়ে হচ্ছে ১,৪১০ টাকা।
জানুয়ারিতে সিলিন্ডার নিলে ভর্তুকি বাবদ গার্হস্থ্য গ্রাহকরা কত টাকা পাবেন, সে ব্যাপারে বৃহস্পতিবার রাতে অবশ্য কিছু জানায়নি রাষ্ট্রায়ত্ত তেল বিপণনকারী সংস্থাগুলি। ডিসেম্বরে দু’দফায় কলকাতায় সিলিন্ডারের দাম নভেম্বরের তুলনায় মোট ১০০ টাকা বাড়লেও গ্রাহকরা ১৯ টাকা ৫৭ পয়সাই ভর্তুকি বাবদ পেয়েছেন।
তবে দাম না বাড়ায় এখনই সম্পূর্ণ নিশ্চিত হওয়ার অবকাশ নেই সাধারণ নাগরিকদের। গত ডিসেম্বর মাসে প্রথম দফায় ২ তারিখ থেকে রান্নার গ্যাসের দাম বেড়েছিল। ১৫ ডিসেম্বর আরও এক দফায় তেলের দাম বাড়ানো হয়। ফলে চলতি মাসের যে কোনও সময়ে তেল কোম্পানিগুলি রান্নার গ্যাসের দামে পরিবর্তন আনতে পারে। এদিকে রাজধানী দিল্লিতে ১৯ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারের দাম কিছুটা হলেও বেড়েছে। এর আগে ১৯ কেজির সিলিন্ডারের দাম ছিল ১,৩৩২ টাকা, এখন তা বেড়ে হয়েছে ১,৩৪৯ টাকা। অর্থাৎ, এ ধরনের সিলিন্ডারের প্রতি দাম বেড়েছে ১৭ টাকা।