নিউজদেশব্যবসা-বানিজ্য ও অর্থনীতি

Investment Tips: বাড়ি বসে অ্যাকাউন্টে মাসে মাসে আসবে ৬১,০০০ টাকা, সরকারকে কোন ট্যাক্স দিতে হবে না, জানুন স্কিম সমন্ধে

কেন্দ্রীয় সরকারের এই স্কিমে কোনো ঝুঁকি নেই

Advertisement

আপনি যদি জানেন কিভাবে সঠিক জায়গায় অর্থ বিনিয়োগ করতে হয় এবং তা সঠিকভাবে পরিচালনা করতে হয় তাহলে অনেক প্রকল্প আপনাকে দারুন লাভ দিতে পারে। এরকম একটি দুর্দান্ত প্রকল্প হলো পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড বা PPF প্রকল্প। এই প্রকল্পে বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করলে দীর্ঘ মেয়াদে বিশাল তহবিল তৈরি করতে পারবেন এবং এই প্রকল্পের বিশেষ বিষয়টি হলো এই বিনিয়োগ সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং বাজারের উত্থান পতনের দ্বারা এই তহবিল কোনভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হয় না। এমনকি এই প্রকল্পের মাধ্যমে পাওয়া সুদে আপনাকে কোনো ট্যাক্স দিতে হবে না। আপনি শুনলে অবাক হবেন যে এই স্কিমের আওতায় আপনি মাসে ৬০,৯৮৯ টাকার পেনশন পেতে পারেন। কি করে পাবেন? বিস্তারিত জানতে এই প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ পড়ুন।

আপনাদের জানিয়ে রাখি, কেন্দ্র সরকারের পিপিফ প্রকল্পে প্ল্যান করে বিনিয়োগ করলে আপনি প্রচুর লাভবান হবেন। এতে বিনিয়োগ করে অবসরের সময় আপনি কোটিপতি হতে পারেন। আর এই সুদের পরিমাণ সম্পূর্ণ কর বিহীন। এই পিপিএফ অ্যাকাউন্ট খুলতে হলে যেকোনো ভারতীয় পোস্ট অফিস বা কোনও ব্যাঙ্কের যে কোনও শাখায় যেতে হবে। এই অ্যাকাউন্ট এ আপনি সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা ও সর্বোচ্চ ১.৫ লাখ টাকা বছরে বিনিয়োগ করতে পারেন। এই স্কিমে আপনি বিনিয়োগের পরিমাণের ওপর ৭.১% হারে সুদ পাবেন।

কিন্তু আপনার মনে নিশ্চয় প্রশ্ন উঠছে যে কিভাবে আপনি মাসে মাসে ৬১,০০০ টাকার পেনশন পাবেন? আসলে আপনি মাত্র ২৫ বছর এই স্কিমে বিনিয়োগ করে কোটিপতি হতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে ৩৫ বছর বয়সে একটি পিপিএফ অ্যাকাউন্ট ওপেন করতে হবে। এতে আপনাকে বার্ষিক ১.৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। সেক্ষেত্রে আপনি মাত্র ১ বছরে ১০,৬৫০ টাকার সুদ পাবেন। এইভাবে PPF বিনিয়োগকারীকে প্রতি বছর ১ থেকে ৫ এপ্রিলের মধ্যে নিজেদের PPF অ্যাকাউন্টে ১,৫০,০০০ টাকা জমা করতে হবে। এইভাবে, সুশৃঙ্খল বিনিয়োগের সাহায্যে, মেয়াদপূর্তির সময়ে, অর্থাৎ ১৫ বছর পরে, সেই PPF অ্যাকাউন্টে ৪০,৬৮,২০৯ টাকা হবে। যার মধ্যে ১৮,১৮,২০৯ টাকা হবে সুদের পরিমাণ এবং মূল বিনিয়োগ হবে ২২,৫০,০০০ টাকা।

আপনি ৩৫ বছর বয়স থেকে বিনিয়োগ শুরু করলে ৫০ বছরে আপনার অ্যাকাউন্ট ম্যাচিওর হবে। কিন্তু অবসরের বয়স ৬০ বছর। তাই আপনি ম্যাচিওর হওয়ার আগে আবেদন করে ৫ বছরের জন্য এক্সটেন্ড করতে পারেন। পাঁচ বছরের জন্য এক্সটেনশন সীমাহীন সংখ্যক বার পাওয়া যাবে। এরমাঝে বিনিয়োগের রুটিন বজায় রাখতে হবে। এরপর PPF অ্যাকাউন্টটি ম্যাচিওর হবে, যখন বয়স ৫৫ বছর হবে। সেই সময়ে, পিপিএফ অ্যাকাউন্টে জমা করা টাকার পরিমাণ হবে ৬৬,৫৮,২৮৮ টাকা। যার মধ্যে ৩৬,৫৮,২৮৮ টাকা সুদ হিসাবে থাকবে এবং মোট বিনিয়োগ হবে ৩০,০০,০০০ টাকা। আবার ৫ বছর এক্সটেন্ডে করলে ৬০ বছর বয়সে নিজের অ্যাকাউন্টে মোট টাকার পরিমাণ ১ কোটি ছাড়িয়ে যাবে। সেই সময়ে, PPF অ্যাকাউন্টে মোট ১,০৩,০৮,০১৪ টাকা জমা হবে। যাতে নিজেদের বিনিয়োগ ৩৭,৫০,০০০ টাকা এবং সরকার সেই অ্যাকাউন্টে সুদ হিসাবে ৬৫,৫৮,০১৫ টাকা থাকবে। কিন্তু কেউ যখন বিনিয়োগ না করে পিপিএফ অ্যাকাউন্ট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়, তখন সে আর্থিক বছরে একবার টাকা তোলার অধিকার পায়। এই সময়ে যা করতে হবে, তা হল প্রতি বছর শুধুমাত্র সুদের পরিমাণ তুলে নিতে হবে। অর্থাৎ PPF অ্যাকাউন্ট থেকে শুধুমাত্র এই বছরের সুদের পরিমাণ ৭,৩১,৮৬৯ টাকা তোলা যাবে এবং নিজেদের সেভিংস অ্যাকাউন্টে জমা করা যাবে। এই টাকার পরিমাণ যদি ১২ মাসে ভাগ করা হয়, তাহলে প্রতি মাসে ৬০,৯৮৯ টাকা হবে। যা পেনশন হিসাবে খরচ করা যাবে।

Related Articles

Back to top button