পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকে যাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে এবার তাদের জন্য রয়েছে সুখবর। ব্যাংক কর্তৃপক্ষের নতুন একটি সিদ্ধান্ত অবশ্যই আপনার মুখে হাসি ফোটাতে পারে। যদি আপনার পিএনবিতে ব্যাংক একাউন্ট থাকে এবং আপনি একজন কৃষক হন তাহলে আপনিও পেয়ে যেতে পারেন ৫০ হাজার টাকা। এই টাকা আপনি কৃষিকাজ ছাড়াও আপনার ব্যক্তিগত চাহিদা পূরণের জন্য ব্যবহার করতে পারবেন। কোন স্কিমের অধীনে এই টাকা পাওয়া যাচ্ছে বা কি করে এই টাকার জন্য আবেদন করতে হবে, জানতে এই প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক বা পিএনবি সম্প্রতি কৃষক গ্রাহকদের পিএনবি কৃষাণ তৎকাল ঋণ প্রকল্পের সুবিধা দিচ্ছে। সম্প্রতি ব্যাংকের পক্ষ থেকে তাদের অফিসিয়াল টুইটারে এই স্কিমের কথা জানানো হয়েছে। ন্যূনতম নথিপত্র এবং ২৫ শতাংশ ঋণ নিরাপত্তার কোনো গ্যারান্টি ছাড়াই সর্বাধিক ৫০ হাজার টাকা ঋণ দিচ্ছে এই ব্যাংক। পিএনবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে এই স্কিমের অধীনে আপনার কৃষি বা ঘরোয়া প্রয়োজন হলে আপনি এই কিষান তৎকাল ঋণ প্রকল্প নিতে পারবেন। তবে এই ঋণ পাওয়ার জন্য বেশ কিছু শর্ত রয়েছে।
প্রথমত এই সুবিধা নিতে আপনাকে অবশ্যই কৃষিতে কর্মরত একজন কৃষক বা কৃষি জমির ভাড়াটে হতে হবে। তবে ঋণগ্রহীতার জন্য কৃষিবিদ হওয়া বাধ্যতামূলক। শুধুমাত্র কৃষক এবং কৃষক গোষ্ঠী যাদের ইতি মধ্যেই কিষান ক্রেডিট কার্ড আছে তারা এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারবেন। এই জন্য তাদের বিগত দুই বছরের সঠিক ব্যাংক রেকর্ড থাকতে হবে। কৃষকদের ঋণ সীমার ২৫ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হবে যার সর্বোচ্চ সীমা ৫০ হাজার টাকা। এই ঋণ নিতে কিছু বন্ধক রাখতে হবে না বা কোনো সার্ভিস চার্জ দিতে হবে না। কৃষকদের ঋণের পরিমাণ পরিশোধের জন্য সর্বোচ্চ ৫ বছর সময় দেওয়া হবে।
একনজরে PNB কিষান তৎকাল ঋণ:
- গ্রাহকদের দু’বছরের ব্যাঙ্কিং রেকর্ড বা স্টেটমেন্ট লাগবে। অর্থাৎ একজন কৃষকের অন্তত দু’বছরের পুরনো অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে।
- ঋণ পরিশোধের জন্য পাঁচ বছর সময় পাওয়া যাবে।
- তৎকাল ঋণের জন্য কোনও কিছু বন্ধক রাখতে হবে না বা আপনার থেকে কোনও সার্ভিস চার্জ নেবে না পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ।
- কোনও কৃষক ব্যক্তিগতভাবে বা গোষ্ঠীবদ্ধভাবে ও এই ঋণের সুবিধা নিতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কৃষক বা গোষ্ঠীর কাছে কিষান ক্রেডিট কার্ড অবশ্যই থাকতে হবে।