মহারাষ্ট্রের গদিতে উদ্ভব ঠাকরের পতন ও একনাথ শিন্ডের উত্থান নিয়ে এখন জোর চর্চা চলছে জাতীয় রাজনীতিতে। এবার সেই মহারাষ্ট্রের স্টাইলেই গোয়া একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের আভাস দেখালো। আসলে দলীয় বৈঠকে না গিয়ে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের অভিযোগ উঠল কংগ্রেসের কিছু বিধায়কের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, গোয়া কংগ্রেসের তিনজন বিধায়ক বিধানসভা অধিবেশনের ঠিক একদিন আগে একটি দলীয় সভা এড়িয়ে গিয়েছেন। জানা যাচ্ছে তারা ক্ষমতাসীন বিজেপির সাথে যোগাযোগ শুরু করেছে।
তবে গোয়া কংগ্রেস দলের মধ্যে ফাটলের কথা অস্বীকার করেছে। কংগ্রেস প্রধান অমিত পাটকর জানিয়েছেন, “সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার ছক কষেছে বিজেপি। গেরুয়া শিবির গুজব ছড়াচ্ছে।” তবে সূত্র মারফত একটি তথ্য সম্পূর্ণ অন্য কথা জানাচ্ছে। আসলে বছরের শুরুতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে দলের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী দিগম্বর কামাত গত শনিবার বিধায়কদের একটি বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন। আর সেখান থেকে হয়েছে বিতর্কের শুরু।
আসলে বর্তমানে মাইকেল লোবোকে বিরোধী দলীয় নেতা ঘোষণা করায় বিরক্ত হয়েছেন দিগম্বর কামাত। সেই সময়ে আবার তার বৈঠকে অনুপস্থিতি স্বভাবতই কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। তবে কামাতের বিরক্ত হওয়ার প্রসঙ্গ অস্বীকার করেছে গোয়া কংগ্রেস। অন্যদিকে, গোয়া বিধানসভার স্পিকার রমেশ তাওয়াদকার রবিবার ডেপুটি স্পিকার পদে নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি বাতিল করেছেন। জানিয়ে রাখি, গোয়ার ৪০ সদস্যের বিধানসভায় বিজেপির এনডিএ সদস্য রয়েছেন ২৫ জন ও বিরোধী কংগ্রেসের ১১ জন সদস্য রয়েছেন।