Gold Price: অবিশ্বাস্য! প্রতি ১০ গ্রামে সোনা ১.৪০ লক্ষ টাকা ছুঁতে চলেছে?

বিশ্ববাজারে চলমান অর্থনৈতিক অস্থিরতা, ডলারের দামের পতন ও মুদ্রাস্ফীতির উচ্চ প্রবণতা সোনার দাম বাড়িয়ে তুলতে পারে এমন পূর্বাভাস দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা জানাচ্ছেন, আগামী এক থেকে দুই বছরের মধ্যে সোনার দাম…

Avatar

বিশ্ববাজারে চলমান অর্থনৈতিক অস্থিরতা, ডলারের দামের পতন ও মুদ্রাস্ফীতির উচ্চ প্রবণতা সোনার দাম বাড়িয়ে তুলতে পারে এমন পূর্বাভাস দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা জানাচ্ছেন, আগামী এক থেকে দুই বছরের মধ্যে সোনার দাম প্রতি ১০ গ্রামে ১.৪০ লক্ষ টাকায় পৌঁছাতে পারে। ফলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এই মুহূর্তে সোনায় বিনিয়োগ নিয়ে জোর আলোচনা চলছে।

বিশ্লেষকদের মতে, বর্তমানে সোনা শুধু গহনা হিসেবেই নয়, বরং একটি নিরাপদ বিনিয়োগ মাধ্যম হিসেবেও ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। আর্থিক অনিশ্চয়তা, যুদ্ধ পরিস্থিতি ও সুদের হারে পরিবর্তনের কারণে অনেকেই স্টক মার্কেট থেকে সরে এসে সোনায় বিনিয়োগ করছেন।

কেন বাড়ছে সোনার দাম?

বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, সোনার দামে এই বড় উত্থানের পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে:

  1. ডলার দুর্বল হচ্ছে – ডলারের দামে পতনের কারণে বিনিয়োগকারীরা বিকল্প হিসেবে সোনার দিকে ঝুঁকছেন।

  2. বিনিয়োগে নিরাপদ আশ্রয় – বিশ্বব্যাপী মন্দার সম্ভাবনার মধ্যে সোনা একটি ‘সেফ হ্যাভেন’ হিসেবে বিবেচিত।

  3. চাহিদা বৃদ্ধি – বিভিন্ন দেশ বিশেষ করে ভারত ও চীন সোনার প্রধান ভোক্তা। উৎসব ও বিয়ের মরসুমে চাহিদা আরও বেড়ে যায়।

  4. আর্থিক অস্থিরতা – ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা ইত্যাদি বিশ্ববাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে।

বিনিয়োগকারীদের জন্য পরামর্শ

সোনায় বিনিয়োগ করার জন্য নিচের বিষয়গুলি বিবেচনা করা জরুরি:

  • দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগে লাভজনক – স্বল্প মেয়াদে দামের ওঠানামা থাকলেও দীর্ঘমেয়াদে সোনা স্থিতিশীল রিটার্ন দেয়।

  • বিকল্প বিনিয়োগ মাধ্যম – আপনি সরাসরি সোনা না কিনে গোল্ড ইটিএফ, সোনার বন্ড বা ডিজিটাল গোল্ডেও বিনিয়োগ করতে পারেন।

  • ব্যবহারিক দিক – সোনার দামে যখন পতন হয় তখনও তা একেবারে শূন্যে নেমে আসে না, তাই এটি তুলনামূলক নিরাপদ।

  • লাভ ও কর – দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগে কর ছাড়ের সুবিধা পাওয়া যায়।

বাজার কী বলছে?

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষণ সংস্থা এবং অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, ২০২৫ সালের শেষে বা ২০২৬ সালের শুরুতেই সোনার দাম ১.৩০ থেকে ১.৪০ লক্ষ টাকার মধ্যে উঠতে পারে। ফলে যারা এখনই সোনা কিনবেন, তারা ভবিষ্যতে বড় লাভ পেতে পারেন।

তবে বাজার বিশেষজ্ঞরা এই বিষয়েও সতর্ক করছেন যে, যেকোনো বিনিয়োগের আগে বাজার বিশ্লেষণ, ব্যক্তিগত আর্থিক পরিস্থিতি এবং লক্ষ্য অনুযায়ী পরিকল্পনা করা উচিত। হঠাৎ করে আবেগের বশে বড় বিনিয়োগে ঝাঁপ দেওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।

বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতি এবং সোনার বাজারের সম্ভাব্য প্রবণতা দেখে বলা যায়, সোনা এখন একটি অত্যন্ত লাভজনক বিনিয়োগ মাধ্যম হয়ে উঠছে। তবে সঠিক সময় ও মাধ্যম বেছে নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যারা ভবিষ্যতের জন্য একটি স্থিতিশীল ও নিরাপদ বিনিয়োগ খুঁজছেন, তাদের জন্য সোনা হতে পারে এক আদর্শ পছন্দ।