আজও সোনা ও রুপোর দর বাজারে ওঠানামা করেছে। শুক্রবার (২৮ জুন) ফের পতন হয়েছে ভারতের ফিউচার মার্কেটে। সোনার দাম প্রতি ১০ গ্রামে ছিল ৭১,৪৪১ টাকা, যা গতকাল বন্ধ হয়েছে ৭১,৫৭২ টাকা। এদিন রুপোর দাম বাড়ল। এমসিএক্সে রুপোর দাম ১৪৮ টাকা (০.১৭%) বেড়ে ৮৭,১৯৬ টাকায় লেনদেন হয়েছে। বৃহস্পতিবার তা বন্ধ হয়েছিল ৮৭,০৪৮-এ।
দিল্লির সরাফা বাজারে সস্তা হয়েছে সোনা। এইচডিএফসি সিকিউরিটিজ জানিয়েছে, বিদেশে দুর্বল প্রবণতার সাথে সামঞ্জস্য রেখে বৃহস্পতিবার বুলিয়ন মার্কেটে সোনার দাম প্রতি ১০ গ্রামে ১২০ টাকা কমে ৭২,১৮০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। আগের ট্রেডে, মূল্যবান ধাতুটি প্রতি ১০ গ্রামে ৭২, ৩০০ টাকায় বন্ধ হয়েছিল। তবে গতকাল রুপোর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ৯০,৬০০ টাকা কেজি। তবে সোনার দামে পতন হয়েছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে, সোনা দুই সপ্তাহের সর্বনিম্নে পৌঁছেছিল, তবে ডলারের নমনীয় হওয়া এবং মার্কিন ১০ বছরের বন্ডের ফলন পতনের ফলে মার্কিন স্বর্ণের উত্থান ঘটে। ইউএস গোল্ড ফিউচার ১ শতাংশ বেড়ে প্রতি আউন্স ২,৩৩৬.৬ ডলারে দাঁড়িয়েছে। সোনার বিশুদ্ধতা চিহ্নিত করতে আইএসও (ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ড অর্গানাইজেশন) দ্বারা হল চিহ্ন দেওয়া হয়। ২৪ ক্যারেট সোনার গয়নার দাম ৯৯৯ টাকা, ২৩ ক্যারেট ৯৫৮ টাকা, ২২ ক্যারেট ৯১৬ টাকা, ২১ ক্যারেট ৮৭৫ টাকা এবং ১৮ ক্যারেট সোনার গয়নার দাম ৭৫০ টাকা।
বেশিরভাগ স্বর্ণ ২২ ক্যারেটে বিক্রি হয়, আবার কেউ কেউ ১৮ ক্যারেটও ব্যবহার করেন। ক্যারেট ২৪ এর বেশি নয়, এবং যত বেশি ক্যারেট, সোনা তত খাঁটি। ২৪ ক্যারেট সোনা ৯৯.৯% বিশুদ্ধ এবং ২২ ক্যারেট প্রায় ৯১ শতাংশ খাঁটি। ২২ ক্যারেট সোনার মধ্যে ৯% অন্যান্য ধাতু যেমন তামা, রূপা, দস্তা মিশিয়ে গয়না তৈরি করা হয়। ২৪ ক্যারেটের সোনা বিলাসবহুল হলেও তা গয়না বানানো যাবে না। যে কারণে বেশিরভাগ দোকানদার ২২ ক্যারেটে স্বর্ণ বিক্রি করেন।