রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য দারুণ খবর! ৪% নয়, এবার ৭% মহার্ঘ ভাতা (Dearness Allowance বা DA) বৃদ্ধি করল রাজ্য সরকার। তবে এই ঘোষণা পশ্চিমবঙ্গের জন্য নয়, বরং ঝাড়খণ্ড সরকারের তরফে এসেছে। মঙ্গলবার ঝাড়খণ্ড সরকার তার কর্মচারীদের ডিএ ৭% বৃদ্ধির অনুমোদন দিয়েছে, যা ২০২৩ সালের ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে।
কতটা বাড়ল ডিএ?
ষষ্ঠ কেন্দ্রীয় বেতন কমিশনের আওতায়, সরকারি কর্মচারীরা আগের ২৩৯% এর পরিবর্তে এবার থেকে ২৪৬% (মূল বেতনের) হারে ডিএ পাবেন। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই প্রস্তাব অনুমোদিত হয়।
পাশাপাশি, পঞ্চম বেতন কমিশনের অধীনে থাকা কর্মচারীদের ডিএ ৪৪৩% থেকে বাড়িয়ে ৪৫৫% করা হয়েছে, যা ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন যুগ্ম মন্ত্রিপরিষদ সচিব রাজীব রঞ্জন। সরকারের এই সিদ্ধান্তে স্বাভাবিকভাবেই খুশি সরকারি কর্মচারীরা।
পশ্চিমবঙ্গে ডিএ নিয়ে অসন্তোষ
অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি ভিন্ন। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের বাজেটে পশ্চিমবঙ্গ সরকার মাত্র ৪% ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা করেছে, যা সরকারি কর্মচারীদের প্রত্যাশার তুলনায় কম। বর্তমানে ষষ্ঠ পে কমিশনের আওতায় ১৪% হারে ডিএ পাচ্ছিলেন রাজ্যের সরকারি কর্মীরা। নতুন ঘোষণার পর এটি বেড়ে ১৮% হবে, যা ২০২৫ সালের ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে।
তবে, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা বর্তমানে সপ্তম পে কমিশনের আওতায় ৫৩% হারে ডিএ পাচ্ছেন। ফলে কেন্দ্র ও রাজ্যের ডিএ বৈষম্য এখন ৩৫% রয়ে গেছে (৫৩%-১৮%)। কেন্দ্রীয় সরকার সম্প্রতি অষ্টম পে কমিশনের ঘোষণাও করেছে, যা রাজ্যের কর্মচারীদের মধ্যে আরও ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে।
– ঝাড়খণ্ড: ৭% ডিএ বৃদ্ধি, ষষ্ঠ পে কমিশনের আওতায় ২৪৬%
– পশ্চিমবঙ্গ: ৪% ডিএ বৃদ্ধি, ষষ্ঠ পে কমিশনের আওতায় ১৮%
– কেন্দ্রীয় সরকার: ৫৩% ডিএ, সপ্তম পে কমিশনের আওতায়
– ফল: কেন্দ্র-রাজ্যের ডিএ বৈষম্য এখন ৩৫%
এই পার্থক্য নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মচারীরা অসন্তুষ্ট এবং ডিএ বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনের সম্ভাবনা বাড়ছে।