এই সরকার গরু পালনকারীদের ১ লক্ষ টাকা ঋণ দিচ্ছে, সময়মতো পরিশোধ করলে কোনও সুদ দিতে হবে না, এভাবে আবেদন করুন

রাজস্থান সরকার রাজ্যের দুগ্ধ খামারিদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে ‘গোপাল ক্রেডিট কার্ড যোজনা’ চালু করেছে। এই স্কিমের মাধ্যমে দুগ্ধ খামারিরা ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সুদমুক্ত ঋণ পেতে পারেন, যা তাঁদের…

Avatar

রাজস্থান সরকার রাজ্যের দুগ্ধ খামারিদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে ‘গোপাল ক্রেডিট কার্ড যোজনা’ চালু করেছে। এই স্কিমের মাধ্যমে দুগ্ধ খামারিরা ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সুদমুক্ত ঋণ পেতে পারেন, যা তাঁদের পশুপালন ও দুধ উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় খরচ মেটাতে কাজে লাগবে। সরকারি এই প্রকল্প পশুপালন খাতকে আরও সুসংগঠিত করতে এবং খামারিদের স্বনির্ভর করে তুলতে ভূমিকা রাখবে।

এই স্কিমে আবেদন করার জন্য আবেদনকারীদের আধার কার্ড, পশুপালনের প্রমাণপত্র এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত নথি দিতে হবে। স্থানীয় কৃষি অফিস বা অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে সহজেই আবেদনপত্র জমা দেওয়া যায়। ঋণের পরিমাণ, মেয়াদ ও পরিশোধের শর্তাবলি আবেদনকারীর আর্থিক অবস্থা অনুসারে নির্ধারণ করা হবে। আবেদন জমা দেওয়ার পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তা যাচাই করে ঋণ অনুমোদন করবেন।

এই যোজনার মূল লক্ষ্য হচ্ছে রাজ্যের দুগ্ধ খামারিদের কাজের পরিসর বাড়ানো, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা এবং তাঁদের আর্থিক চাপ হ্রাস করা। সরকার আশা করছে, এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে পশুপালন ব্যবসায় বড় রকমের ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। যারা দুগ্ধ খামার শুরু করতে চান বা ইতিমধ্যে এই পেশায় যুক্ত রয়েছেন, তাঁদের জন্য এটি একটি দারুণ সুযোগ।

স্কিমের মূল বৈশিষ্ট্য:

  • সুদমুক্ত ঋণ: দুগ্ধ খামারিরা ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সুদমুক্ত ঋণ পেতে পারেন।

  • সহজ আবেদন প্রক্রিয়া: আবেদনকারীরা স্থানীয় কৃষি অফিস বা অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে আবেদন করতে পারেন।

  • আবশ্যক নথিপত্র: আবেদনকারীদের আধার কার্ড, পশুপালনের প্রমাণপত্র এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বিবরণ জমা দিতে হবে।

  • লাভজনক শর্তাবলী: ঋণের পরিমাণ এবং পরিশোধের সময়সীমা দুগ্ধ খামারির আর্থিক অবস্থার উপর নির্ভর করে নির্ধারিত হবে।

আবেদন প্রক্রিয়া:

  1. নথিপত্র সংগ্রহ: আবেদনকারীরা প্রয়োজনীয় নথিপত্র সংগ্রহ করবেন।

  2. আবেদনপত্র পূরণ: স্থানীয় কৃষি অফিস বা অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে আবেদনপত্র পূরণ করবেন।

  3. নথিপত্র জমা: প্রয়োজনীয় নথিপত্র আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দেবেন।

  4. পর্যালোচনা ও অনুমোদন: আবেদনপত্র পর্যালোচনা করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ঋণ অনুমোদন করবেন।