এত দিনের ছুটিতে চাকরি করতে পারবেন সরকারি কর্মচারীরা, জেনে নিন সরকারের নতুন নিয়ম
প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী আপনাদের জানিয়ে রাখি সরকার কর্মচারীদের ছুটির বিষয়ে কিছু নতুন নিয়ম জারি করেছে
সরকারি কর্মচারীদের ছুটি প্রসঙ্গে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এবারে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে একজন সরকারি কর্মচারী টানা কত দিন পর্যন্ত ছুটি নিতে পারবেন এবং তারপরে তার চাকরিতে কিভাবে প্রভাব পড়বে। সরকার প্রায়শই এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিয়ে থাকে এবং এই সংক্রান্ত বিভ্রান্তি দূর করে থাকে কর্মচারীদের। তাদের পরিষেবা সংক্রান্ত সমস্ত শর্ত সম্পর্কে অবহিত করে থাকে সরকার। প্রায়শয় জিজ্ঞেস করা এই সমস্ত প্রশ্নের মধ্যে অন্যতম হলো ছুটির ক্ষেত্রে ভ্রমণ ছাড়, নগদকরন, পিতৃত্বকালীন ছুটি এবং বিভিন্ন শ্রেণীর কর্মচারীদের এন্টাইটেলমেন্ট।
এই সমস্ত প্রশ্নাবলী অনুসারে সরকার স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, যদি কোন কর্মচারী একটানা পাঁচ বছরের বেশি ছুটিতে থাকেন তবে তার পরিষেবা সমাপ্ত বলে বিবেচিত হবে। ফরেন সার্ভিস ব্যতীত অন্য কোন ক্ষেত্রে কোন সরকারি কর্মচারী যদি পাঁচ বছরের বেশি ছুটি গ্রহণ করেন তাহলে তার পদ থেকে তিনি পদত্যাগ করেছেন ধরে নেওয়া যেতে পারে। অর্থাৎ কর্মচারী এক টাকা পাঁচ বছরের বেশি ছুটি নিতে পারবেন না। সরকার প্রায়শই জিজ্ঞেস করা এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তরে বলেছে, কর্মচারীদের অগ্রিম ছুটি নগদকরন অনুমোদন নিতে হবে যা এলটিসি এর সাথে উপযুক্ত হতে হবে। নির্ধারিত সময়ের পরেও ছুটি নেওয়া যেতে পারে।
মহিলাদের ক্ষেত্রে শিশুর যত্নের জন্য ছুটি নেওয়া যেতে পারে। যদি শিশু বিদেশে পড়াশোনা করে বা মহিলা কর্মচারীকে তার যত্ন নেওয়ার জন্য বিদেশে যেতে হয় তাহলে কিছু প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়ার পরে তিনি ছুটি পান। সরকার এই বিষয়টা স্পষ্ট করেছে যে যদি কোন কর্মচারীর ছুটির প্রয়োজন হয় তাহলে তিনি তার পুরো চাকরির সময়কালে ২৪ মাসের ছুটি পেতে পারেন। এই ছুটি একসাথে অথবা আলাদাভাবে নেওয়া যেতে পারে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মচারীদের অধ্যয়নের ছুটির জন্য ৩৬ মাস সময় দেওয়া হয়। স্নাতকোত্তর যোগ্যতার জন্য ৩৬ মাসের ছুটি সর্বাধিক নেওয়া যেতে পারে।