মেয়ে জন্মালেই সরকার দিচ্ছে এক লাখ টাকা, জানুন কীভাবে আবেদন করবেন

উত্তরপ্রদেশের সরকার কন্যা সন্তানদের উন্নতির জন্য এই নতুন প্রকল্প চালু করেছে

Advertisement

Advertisement

দেশের মেয়েদের স্বাবলম্বী করতে এবারে কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিভিন্ন রাজ্য সরকার বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পনা নিয়ে আসছে। আপনাদের জানিয়ে রাখি বর্তমানে কন্যাদের উত্তরপ্রদেশ সরকার বেশ সাহায্য করছে। নতুন একটি প্রকল্প এসে হাজির হয়েছে কন্যাদের জন্য যা থেকে তারা দারুণ সুবিধা পাচ্ছেন। কন্যাদের উন্নতির লক্ষ্যে এই প্রকল্প শুরু করা হয়েছে এবং এই প্রকল্পে কন্যারা নগদ ৫০ হাজার টাকা পেয়ে যাবেন। আমরা যে যোজনার কথা বলছি সেই যোজনার নাম হল ভাগ্য লক্ষ্মী যোজনা। এই দুজনে আপনারা উত্তরপ্রদেশ সরকারের সাহায্য নিয়ে নিজেদের কন্যাদের ভালো ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করতে পারেন।

Advertisement

উত্তরপ্রদেশ সরকার এটি শুরু করেছে রাজ্যের মেয়েদের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতির জন্য। এর পাশাপাশি এই প্রকল্পটি রাজ্যের কন্যাদের পড়াশোনায় উৎসাহিত করতে ব্যবহার করা হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশের ভাগ্যলক্ষ্মী প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারের লক্ষ্য কন্যা জন্মের প্রচার করা। আপনাদের জানিয়ে রাখি এই প্রকল্পের অধীনে রাজ্য সরকার বিপিএল পরিবারের কন্যাদের জন্মের সময় ৫০ হাজার টাকা সহায়তা করছে। কন্যাদের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য একটি ভাল পরিমাণ অর্থ দেওয়া হচ্ছে যার মাধ্যমে মেয়েদের পড়ালেখা এবং উন্নতিতে কোন অসুবিধা না হয়।

Advertisement

উত্তর প্রদেশ ভাগ্যলক্ষী যোজনার অধীনে যদি আপনার মেয়ে ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হয় তবে সে ৩০০০ টাকা পেয়ে যাবে। অষ্টম শ্রেণীতে ভর্তির পর ৫ হাজার টাকা এবং দশম শ্রেণীতে ভর্তি হলে ৭০০০ টাকা পেয়ে যাবে। এর পাশাপাশি দ্বাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হলে আপনার কন্যা ৮ হাজার টাকা পেয়ে যাবে। উত্তর প্রদেশ ভাগ্যলক্ষী প্রকল্পের সুবিধা পেতে হলে মেয়ের মা-বাবাকে উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা হতে হবে।

Advertisement

শর্তগুলি কি কি?

১. এই প্রকল্পের সুবিধা যদি আপনার পেতে হয় তাহলে আপনার বার্ষিক আয় দুই লক্ষ টাকার কম হতে হবে।

২. এর পাশাপাশি বিয়ের সময় মেয়ের বয়স ১৮ বছরের কম হওয়া যাবেনা।

৩. ৩১ মার্চ ২০০৬ এর পরে বিপিএল পরিবারে জন্মগ্রহণকারী কন্যারা এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে পারেন।

৪. এই প্রকল্পের আওতায় একটি পরিবারের দুই মেয়ে টাকা পেতে পারেন।

৫. এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে হলে আপনার কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি থাকতে হবে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বাবা মায়ের আধার কার্ড, বসবাসের শংসাপত্র, আয়ের শংসাপত্র, বর্ণের শংসাপত্র, জন্ম শংসাপত্র, ব্যাংক অ্যাকাউন্টের পাসবুক, মোবাইল নম্বর, পাসপোর্ট সাইজের ছবি।