আমফানের ক্ষত এখনও শুকনো এর মধ্যেই ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘নিসর্গ’। ইতিমধ্যে ঝড়ের তীব্রতা বেড়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর (আইএমডি) এক পূর্বাভাসে জানিয়েছে যে, গুজরাট ও মহারাষ্ট্রের উপকূলীয় অংশে বায়ুর গতি বাড়াচ্ছে নিসর্গ। বুধবার সকাল ৮ টার পর থেকেই মহারাষ্ট্রের রত্নাগিরিতে ঘন্টায় ৫৫ থেকে ৬৫ কিমি গতিতে বইছে বাতাস। কোঙ্কন উপকূলে ঝোড়ো হাওয়ার বেগ ঘন্টায় ৭৫ কিমির বেশি।
হাওয়ার গতি ক্রমশ বাড়ছে বলে জানিয়েছে আইএমডি। ক্রমশ বাড়তে বাড়তে এই গতি, ঘূর্ণিঝড়ের ভূমিভাগে আছড়ে পড়ার সময় ঘন্টায় ১২০ কিমি ছুঁয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আবহাওয়া দপ্তর আরও জানিয়েছে যে, বুধবার বিকালের মধ্যেই ভূমিভাগে আছড়ে পড়বে নিসর্গ। বর্তমানে তা উপকূল থেকে ২০০ কিমি দূরে অবস্থান করছে।
ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় ইতিমধ্যে তৎপরতা দেখা গিয়েছে স্থানীয় প্রশাসনের অন্দরেও। ঝড়ের সময় বিদ্যুৎ থাকবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এলাকায়। বন্ধ থাকবে জল সরবরাহও। এলাকাবাসীকে সবরকম পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। আইএমডি-র ডিরেক্টর জেনারেল মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র এ বিষয়ে জানান, ইতিমধ্যে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে নিসর্গ।
ঘন্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিমি হতে চলেছে ঝড়ের গতিবেগ। যা মারাত্মক তান্ডব চালাতে পারে মহারাষ্ট্র ও গুজরাটে। ঘূর্ণিঝড়ের জেরে বিপর্যস্ত হতে পারে টেলিফোন ও ইন্টারনেট পরিষেবাও। মহারাষ্ট্র ও গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তৈরি রয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও।