শ্রেয়া চ্যাটার্জী: নানা তুচ্ছতার মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হয় আমাদের এক একটি দিন। রুটিনমাফিক কাজ চলে সকাল থেকে সন্ধ্যা। মনে রাখার মতো তেমন কিছু সচরাচর ঘটে নি। স্মৃতির মণিকোঠায় দিয়ে রাখি তেমন কিছুই থাকেনা প্রাত্যহিক জীবনে। তাই বুঝি উৎসবের আয়োজন। উৎসবের উৎসাহে আমাদের হৃদয় দীপ্ত হয়।
উৎসবের ছোঁয়া লাগে গ্রামবাংলায় ও কলকাতায়।কলকাতায় আনন্দ-উৎসবের জন্য রয়েছে সিনেমাহল, থিয়েটার হল, শপিংমল,পার্ক, লেকের ধার কিন্তু গ্রাম বাংলার পুরুষের জীবন অতিবাহিত হয় মাঠে অথবা কর্মস্থলে। কিন্তু এখানকার নারীদের জীবন কিন্তু কাটে সেই হেঁসেলে। একমাত্র এই উৎসবের আয়োজনে তারা একটু আনন্দ খুঁজে পায়। কলকাতায় যেমন এক পা দুপা এগুলোই এক-একটি মন্ডপ দেখা যায় গ্রামবাংলায় কিন্তু ঠিক তেমনটা হয়না গ্রামবাংলা একেকটি পূজোর মধ্যে দূরত্ব থাকে হয়তো এক একটি গ্রাম। দূরে কান পাতলে শোনা যায় ঢাকের আওয়াজ। মৃদু তালে যেখানে ঢাকিরা ঢাক বাজাচ্ছে সঙ্গে কাঁসরঘন্টা। কবি চিত্তে বলে ওঠে
‘দুন্দুভি বাজিতেছে ধিমি ধিমি
রবে সাঁওতাল পল্লীতে উৎসব হবে’
আমরা বাঙালিরা ভাবুক আবেগপ্রবন জাতি। কেবল কর্ম রথের ঘরঘর ধ্বনিতে আমাদের হৃদয় ক্লান্ত হয়। আমরা কেবল লাভ-লোকসানের হিসাব এই দুনিয়াতেই আমাদের চিত্তকে সবসময় বন্ধ করে রাখতে পারিনা। একটি পয়সা পেলে আমরা চাল কিনি বটে কিন্তু দুটি পয়সা পেলেই আমরা সেটা দিয়ে ফুল কিনি।
গ্রামের দিকে উৎসবের আরেকটি পাওনা হলো গ্রামের মেলা সেখানে বসে জিলিপি, পাপড় ভাজা, ছোটখাটো সাংসারিক জিনিসপত্রের দোকান।
তাই বলতেই হয়
আমরা দুটি ভাই শিবের গাজন গাই
একটি দুটি পয়সা পেলে মুড়কি কিনে খাই