Green Fire Crackers: কালীপুজোয় আতসবাজী বাজানোর নির্ঘন্ট ধার্য করল রাজ্য

Advertisement

Advertisement

কালীপুজো ও দীপাবলির আসতে আর বেশি দেরী নয়। দীপাবলি আর কালীপুজোর রাতে বাজির দাপট রুখতে কোমর বাঁধছে পুলিশ, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ ও পরিবেশকর্মী সংগঠন। ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছেন, এবছর পরিবেশবান্ধব বাজিই ফাটাতে হব সকলকে। ফের আতসবাজি নিয়ে আরো একবার নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য সরকার। রাজ্যের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ পরিবেশ বান্ধব বাজি ফাটানোর নোটিস জারি করল।

Advertisement

এদিন রাজ্যের তরফ থেকে নির্দেশিকাতে বলা হয়েছে, কেবলমাত্র এবছর পরিবেশবান্ধব আতসবাজিই বিক্রি করা হবে। আর পুজোর সময় রাত ৮-১০টা পর্যন্ত এই বাজি ফাটানো যাবে। কালীপুজো আর দীপাবলীর পর আছে ছট পুজো। এই ছট পুজোতেও কেবল ২ ঘণ্টাই এই বাজি ফাটানো যাবে। এমনকি বছর শেষে ক্রিস্টমাস ও বর্ষশেষের অনুষ্ঠানে নির্দিষ্ট কোন সময়ে বাজি ফাটানো যাবে, সেই সময় সীমাও ধার্য করে দিল রাজ্য সরকার। নির্দেশিকায় স্পষ্টত বলা হয়েছে, ওই দুইদিন ক্রিস্টমাস আর বর্ষশেষের রাতে ১১.৫৫ মিনিট থেকে ১২ঃ৩০ টা পর্যন্ত পরিবেশবান্ধব আতসবাজি ফাটানো যাবে।

Advertisement

কিছুদিন আগে পরিবেশ দূষণের কথা মাথায় রেখে আর বয়স্কদের কথা মাথায় রেখে আতসবাজি বিক্রি ও ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ করার জন্য সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়েছিল। তবে বিচারক আতসবাজি পুরোপুরি তা বন্ধ না করেননি ঠিকই। তবে নিরাপত্তা র সাথে কম শব্দ উত্‍পন্ন করে এমন ধরনের বাজি বিক্রি ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে অনুমতি দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। পাশাপাশি এও বলা হয়েছে, শুধুমাত্র লাইসেন্সপ্রাপ্ত ব্যবসায়ীরাই বাজি বিক্রি করতে পারবেন। এ বিষয়ে সরকারকে জনসচেতনামূলক প্রচারও শুরু করতে হবে।

Advertisement

গত শুক্রবার পুলিশ ট্রেনিং স্কুলে প্রশাসনের সঙ্গে এইস সংক্রান্ত বিষয়ে সকল বাজি ব্যবসায়ীদের বৈঠক হয়। আর সেখানে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরেছিলেন সমস্ত বাজি ব্যবসায়ীরা। দীপাবলীর আগে আগামী সোমবার কলকাতা পুলিশ এবং পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সামনে হবে বাজি পরীক্ষা। রিপোর্ট অনুযায়ী তারপরই প্রকাশ্যে এবারে আলোর উৎসবে কোন কোন বাজি পোড়ানো হবে।

Recent Posts