নয়াদিল্লি: হ্যাক হয়ে গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিজস্ব ওয়েবসাইট এবং মোবাইল অ্যাপের টুইটার অ্যাকাউন্ট। গোটা বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছে। দেশের প্রধানমন্ত্রীর অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়ার কারণ কী? কোনও নাশকতার ছক কি এর পেছনে রয়েছে? রয়েছে কোনও বড়সড় ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত? এর সমস্ত প্রশ্ন যখন বিশেষজ্ঞ মহলে ঘোরাফেরা করছে, তখন টুইটারের পক্ষ থেকে এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করা হয়েছে।
তবে বেশিক্ষণের জন্য নয়, খানিকক্ষণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর অ্যাকাউন্ট হ্যাক করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে ঠিক কী কারণে তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। যদিও কোনও বড়সড় ষড়যন্ত্র এর পিছনে নেই বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে টুইটারের পক্ষ থেকে।
টুইটারে narendramodi_in প্রধানমন্ত্রীর নামে এই ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপের অ্যাকাউন্টটি রয়েছে। এই দু’টোকেই হ্যাক করা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই তা পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলেও টুইটার কর্তৃপক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
জানা গিয়েছে, হ্যাকাররা Covid-19 তহবিলে অনুদান দেওয়ার আবেদন জানায়। শুধু তাই নয়, ক্রিপ্টো কয়েনের মাধ্যমে এই অনুদান দেওয়ার কথা বলা হয়। এরকমই আরও কয়েকটি অসংলগ্ন টুইট প্রধানমন্ত্রীর অ্যাকাউন্টে দেখা যায়। প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে এ সমস্ত টুইট দেখে অনেকেই চমকে যান। পরে অবশ্য প্রত্যেকে বুঝতে পারেন এটি প্রধানমন্ত্রীর করা টুইট নয়। সকলে বুঝে যান যে, প্রধানমন্ত্রীর অ্যাকাউন্টটি হ্যাক করা হয়েছে। এ খবর প্রকাশ্যে আসা মাত্র টুইটারের পক্ষ থেকে হ্যাকারদের হাত থেকে প্রধানমন্ত্রীর অ্যাকাউন্টকে পুনরুদ্ধার করা হয় এবং হ্যাকারদের সমস্ত টুইট মুছে ফেলা হয়। এছাড়াও আর কোনওরকমভাবে প্রধানমন্ত্রীর ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিনা বা হলেও কতটা হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রীর নিজস্ব ওয়েবসাইট এবং মোবাইল অ্যাপের টুইটার অ্যাকাউন্টে ফলোয়ার্স সংখ্যা প্রায় ২৫ লক্ষেরও বেশি। সেখানে এমন অসংলগ্নমূলক কাজ কে বা কারা করেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এই প্রথম শুধু দেশের প্রধানমন্ত্রী নন, গোটা বিশ্বের তাবড় তাবড় ব্যক্তিত্বদের অ্যাকাউন্ট চলতি বছরে অনেকবার হ্যাক হয়েছে। প্রত্যেক অ্যাকাউন্ট এক হ্যাকাররাই হ্যাক করেছে নাকি আলাদা তা নিয়েও যথেষ্ট সংশয় দেখা দিয়েছে যদিও গোটা বিষয়টির তদন্ত শুরু করে দেওয়া হয়েছে। গোটা বিষয়টি টুইটার বিশেষজ্ঞরা খতিয়ে দেখছেন। যদিও এখনও এ প্রসঙ্গে কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।