বিন্দুতে বিন্দুতে তিনি সিন্ধু গড়ে তুলেছেন, তিনি হলেন হায়দার এল আলি একটি একটি করে চারা নিয়ে কাদার মধ্যে পুঁতে এমন করেই ১০ বছরে প্রায় ১৫ কোটি ২০ লক্ষ ম্যানগ্রোভের ছাড়া পথে একটি ম্যানগ্রোভ অরণ্য তুলে তৈরি করেছেন।
একদিকে যখন একটার পর একটা বনাঞ্চল ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, দাবানলের আগুনে গাছ কাটা হচ্ছে, উন্নতির চূড়ায় পৌঁছানোর জন্য ঠিক সেইসময় হায়দার আলী প্রকৃতিকে ফিরিয়ে আনার জন্য এমনই চেষ্টা করে চলেছেন। হায়দার বসিয়েছেন এভি চেনা গাছ গাছের পাতা জল থেকে নুন শুষে নেয়। আগে জমিতে নুন থাকার কারণে ধান চাষ হতে অসুবিধা হতো।
কারণ নুনের এর মাত্রা বেড়ে গিয়েছিল। তাছাড়া ওই গাছের শিকড়ে বাসা বাঁধছে শামুক। শামুক মাছের খুব প্রিয় খাদ্য। ম্যানগ্রোভ এর আশে পাশের নদীতে প্রচুর মাছ পাওয়া যাচ্ছে, যার ফলে স্থানীয় মানুষরা অনেক উপকৃত হচ্ছেন।
এই হায়দার হয়তো মনে মনে ভেবেছেন, ‘দাও ফিরে সে অরণ্য লও এ নগর’, তাইতো তিনি বন্ধ্যা শুষ্ক জমিকে করে তুলেছেন বনভূমি।