জীবনযাপনসৌন্দর্য

Hair Care: শীতকালে বারবার এই তেল লাগালেই মিটবে চুল পড়ার সমস্যা, বাড়বে ঘনত্ব ও উজ্জ্বলতাও

Advertisement

যেকোনো মানুষের কাছেই তাদের চুল খুব প্রিয়। নিজেদের পাশাপাশি সবসময় নিজেদের চুলকেও সুন্দর রাখতে চান সকলে। তবে বর্তমানের কর্মব্যস্ত জীবনে সবসময় নিয়ম করে চুলের যত্ন নেওয়া সম্ভব হয় না। আর সেই কারণবশতই অনেকসময় বেশিরভাগকেই অতিরিক্ত চুল পড়ার সমস্যায় ভুগতে হয়। পাশাপাশি চুল হয়ে যায় রুক্ষ। এই সমস্যা বেশি দেখা দেখা দেয় শীতকালে।‌ তবে যদি একটি কথা নিয়ম করে মানা যায় তাহলে চুল পড়ার সমস্যা থেকে অনেকটাই মুক্তি মিলবে। পাশাপাশি পাওয়া যাবে ঘন, কালো, মোলায়েম চুলও।

চুল পড়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস হল তেল। আর বারবার এই তেল মালিশেই রয়েছে সমাধান। একাধিক বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি নিয়ম করে সপ্তাহে অন্তত দুই থেকে তিনবার চুলে তেল মালিশ করা হয় তাহলে চুল পড়ার সমস্যা থেকে অনেকটাই মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। পাশাপাশি চুল ফিরে পাবে নিজের স্বাভাবিক কোমলতা। বাড়বে ঘনত্বও। এক্ষেত্রে বাদাম তেল, নারকেল তেল, আমলা তেল, নিম তেল, জলপাই তেল, ক্যাস্টর অয়েল, তিল তেল, ভৃঙ্গরাজ তেল সবই কার্যকরী চুল পড়ার সমস্যা দূর করতে। বিশেষ করে শীতকালেই চুলের জন্য তেল মালিশ ভীষণভাবে জরুরী।

উল্লেখ্য, যদি সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার চান করার দুই থেকে তিন ঘন্টা আগে তেল হালকা গরম করে নিয়ে গোটা মাথায় মেখে নেওয়া যায় তাহলে তা চুল পড়া বন্ধ করতে অত্যন্ত কার্যকরী হয়। ঐ হালকা গরম তেল হতে নিয়ে আলতো আঙুলে গোটা মাথায় ম্যাসেজ করা যায় তাহলে তেল পৌঁছায় চুলের গোড়ায় গোড়ায়। পাশাপাশি কোমলতা আনে চুলেও। তবে কখনোই তেল লাগানোর পরেই চুল আঁচড়ানো উচিৎ নয় চিরুনি দিয়ে। সেক্ষেত্রে চুল পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে।

বলাই বাহুল্য, মাথায় তেল মালিশ করার দু-তিন ঘন্টা পর স্নান করে নিতে হবে ভালো করে। শ্যাম্পু দেওয়ার পাশাপাশি আবশ্যিকভাবে মাথায় কন্ডিশনারও লাগাতে হবে। এক্ষেত্রে নিজের চুল ও তার স্কাল্প অনুযায়ী উপযুক্ত শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার বেছে নিতে হবে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে। উল্লেখ্য, তেলের পুষ্টিগুণ চুলের গোড়া মজবুত করে। চুলের রুক্ষতা দূর করার সাথে সাথে মেটায় একাধিক সমস্যাও। চুলকে সুস্থ রাখতে তেল মালিশ ওষুধের মতো কাজ করে, তা আর আলাদাভাবে বলার অপেক্ষা রাখছে না।

Related Articles

Back to top button