সৌন্দর্য

Hair Care: চুল পড়বে না এবং পাতলাও হবে না, মেনে চলুন এই ঘরোয়া উপায়গুলো

Advertisement

একবিংশ শাব্দীর মানুষের হতে সময়ের বড়ই অভাব। তাই সঠিক সময়ে খাদ্য, ঘুম ও প্রয়োজনীয় যত্ন নিতে সক্ষম হন না অনেকেই। আবার কিছু মানুষ এর মাঝেই নিজের খেয়াল রাখতে পারেন যোগ ব্যায়াম, সঠিক ধরনের খাদ্য ও ঠিক পরিণামে ঘুমিয়ে। কিন্তু যাদের যত্ন নেওয়া হয়ে উঠে না তাদের জীবনে সমস্যাও প্রচুর, ত্বকের সমস্যা, পেটের সমস্যা, চোখের নিচে কালি ও চুলের সমস্যায় প্রায়ই ভুগেন তারা। আজ আমরা সহজে ও কম সময়ে চুলের সমস্যা থেকে রেহাই মিলবে এমন উপায় নিয়ে হাজির।

সকলের ব্যস্ত জীবনে আমরা নিজেদের প্রতি পর্যাপ্ত মনোযোগ দিতে পারি না। এই যুগে একজন মহিলার জন্য বাড়ির সকল কাজ করা, পরিবারের সবার তত্ত্বাবধান করে, চাকরির সকল কাজের মাঝে নিজের যত্ন নেওয়া হয়ে ওঠে না। তবে চুল নিয়ে আমরা সবসময় চিন্তিত থাকি। বেশির ভাগ নারীকেই চুল পাতলা হয়ে যাওয়ার সমস্যায় পড়তে হয়।অন্যদিকে, চুল পাতলা হওয়া এমন একটি অবস্থা যেখানে আপনার মাথার ত্বকের দাগ দেখা যায়। এর জন্যে মহিলাদের সৌন্দর্য্য ক্ষতি হয়। কিন্তু এই সমস্যাটির অনেক কারণ থাকতে পারে।

আসুন এই যুগের সকল চুলের সমস্যার কারণ গুলি দেখা যাক:-

আমাদের চুলের পরে যাওয়ার কিছু সাধারণ কারণের মধ্যে রয়েছে চাপ, পুষ্টির ঘাটতি, খুশকি, তৈলাক্ত মাথার ত্বক, কিছু রোগ, থাইরয়েড বা হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, রাসায়নিক লোশন প্রয়োগ এবং তাপ। মেনোপজের সময় চুল পাতলা হওয়ার সমস্যাও রয়েছে। চুল দুর্বল এবং ভঙ্গুর হতে পারে এবং এর ফলে চুল পড়ে পাতলা হয়ে যায়।রাসায়নিক রং ব্যবহার, তাপ, রাবার ব্যান্ড দিয়ে চুল বেঁধে রাখা, শুষ্কতা, হেয়ার ড্রায়ারের অত্যধিক ব্যবহার ইত্যাদি কারণে এমনটা হয়।’

তবে আমরা উপদেশ দিচ্ছি যে এই সময়ে আপনি যদি কিছু উপায় অবলম্বন করেন তাহলে আপনার সমস্যা অনেকাংশে কমে যেতে পারে।বিশেষজ্ঞরা এমন কিছু আশ্চর্যজনক প্রতিকার বলেছেন, যার সাহায্যে চুল ঝরে হওয়ার সমস্যা অনেকটাই কমতে পারে।

উপায়গুলো কি কি আর কিভাবে প্রয়োগ করতে হবে জেনে নিন:-

১) অ্যাপল সাইডার ভিনেগার:-
আপনার ঝরে যাওয়া ও ক্ষতিগ্রস্থ চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে, আপনাকে অবশ্যই এই প্রতিকারটি চেষ্টা করে দেখা উচিত। এতে চুল পড়ার সমস্যা অনেকাংশে কমানো যায়।

উপকরন:-
২ চা চামচ আপেল সিডার ভিনেগার
১ চা চামচ খাঁটি বাদাম তেল

প্রস্তুতি প্রণালী ও ব্যাবহারের পদ্ধতি:-

প্রথমে একটি ছোট পাত্রে ভিনেগার ও বাদামের তেল ভালো করে মিশিয়ে নিন।এরপর চুলে লাগান এবং খুব হালকা হাতে ম্যাসাজ করুন। একটি শোওয়ার ক্যাপ পরে এটি চুলে কমপক্ষে 30-60 মিনিটের জন্য রেখে দিন।
নির্ধারিত সময়ের পর হালকা শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এই উপকরণটি দিয়ে, আপনি কয়েক দিনের মধ্যে আপনার চুলের পার্থক্য দেখতে পাবেন।

২) নারকেলের দুধ:-

নারকেলের দুধে উপস্থিত ফ্যাটি অ্যাসিড আপনার চুলকে ময়েশ্চারাইজ করে। এটি আপনার চুল পড়ার সমস্যা কমাতেও সাহায্য করে এবং তাদের স্বাস্থ্যের উপর কাজ করে।

প্রয়োজনীয় উপকরন:-
১ কাপ নারকেল দুধ
১/৪ কাপ কারি পাতার গুঁড়ো

প্রস্তুতি প্রণালী ও ব্যাবহারের পদ্ধতি:-
প্রথমে কারি পাতার গুঁড়া তৈরি করুন বা বাজার থেকেও গুঁড়া কিনতে পারেন।
একটি পাত্রে নারকেলের দুধ ও গুঁড়া মিশিয়ে ভালো করে মিশিয়ে চুলে লাগান।
এটি চুলে লাগান এবং কমপক্ষে 1 ঘন্টা রেখে দিন এবং তারপর স্বাভাবিক জল দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।

৩) তিলের তেল ব্যবহার করুন:-
মাথার শুষ্ক ত্বক, খুশকি, চুল পড়া এবং পাতলা চুলের জন্য তিলের তেলের চেয়ে ভালো আর কিছুই হতে পারেনা। এটি চুলকে মজবুত ও চকচকে করতেও সাহায্য করে।

উপকরন:-

১/২ কাপ তিলের তেল
১টি তুলার বল
১টি লেবু

প্রস্তুত প্রণালী ও ব্যাবহারের পদ্ধতি:-
খাঁটি তিলের তেল নিয়ে প্রথমে একটু গরম করুন। এর পর হালকা গরম হতে দিন।
একটি তুলোর বল এতে ডুবিয়ে আপনার মাথার ত্বকে ভালো করে লাগান। হালকা হাতে ম্যাসাজ করতে থাকুন।
এটি লাগিয়ে সারারাত রেখে দিন এবং সকালে লেবুর টুকরো মাথার ত্বকে ঘষুন। 30 মিনিট পর হালকা শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
দেখবেন কিছু দিনের মধ্যে আপনার সমস্যা কমে যাবে।

৪) নারকেল তেল এবং কারি পাতা ব্যবহার করুন:-

কারি পাতা একটি খুব ঔষধি গুণ সম্পূর্ণ ভেষজ। এটির এমন উপাদান রয়েছে যা চুলের গোড়ার ওপর ভালো কাজ করে এবং চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এটি প্রোটিন, বিটা-ক্যারোটিন এবং এই জাতীয় অনেক অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উত্স যা চুলের ফাইবারগুলিতে কাজ করে চুল দ্রুত বৃদ্ধি করে।

উপাদান:-

১/২ কাপ নারকেল তেল
৬/৭ কারি পাত

প্রস্তুত প্রণালী ও ব্যাবহারের পদ্ধতি:-
একটি প্যানে নারকেল তেল এবং কারি পাতা দিয়ে সিদ্ধ করুন। যতক্ষণ না আপনি প্যানে একটি কালো পদার্থ দেখতে পান ততক্ষণ এটি সিদ্ধ করুন। নামিয়ে ঠান্ডা করে মিক্স করে নিন। এরপর মাথায় ভালো করে লাগিয়ে ১ ঘণ্টা রেখে দিন। নির্ধারিত সময়ের পর চুল ধুয়ে ফেলুন।আপনি যদি এই রেসিপিটি সপ্তাহে 2 থেকে 3 বার চেষ্টা করেন তবে আপনি শীঘ্রই পার্থক্য দেখতে পাবেন আপনার চুলের ঘনত্বে।

Related Articles

Back to top button