শুভ মহা পঞ্চমী : দেবী স্কন্ধমাতা, মহামায়ার পঞ্চম বিভূতি

মহামায়ার অনন্ত রূপ। অনন্ত তাঁর লীলা। এই জগৎমাঝে তিনি একমাত্র সত্য। যখনই সংকট কাল উপস্থিত হয়, তখনই দেবী আবির্ভূতা হয়ে, দমন করেন দুষ্টের ও প্রতিস্থাপন করেন ধর্ম ও শান্তি। মহামায়াকে…

Avatar

মহামায়ার অনন্ত রূপ। অনন্ত তাঁর লীলা। এই জগৎমাঝে তিনি একমাত্র সত্য। যখনই সংকট কাল উপস্থিত হয়, তখনই দেবী আবির্ভূতা হয়ে, দমন করেন দুষ্টের ও প্রতিস্থাপন করেন ধর্ম ও শান্তি।

মহামায়াকে মূলত নটি রূপে উপাসনা করা হয়। এক কথায় যাকে জগৎবাসী “নবদুর্গা” রূপে অভিহিত করে। মায়ের পঞ্চম রূপ হল স্কন্ধমাতা। দেবসেনাপতি কার্তিকের আরেক নাম স্কন্ধ এবং পার্বতী তাঁর জননী। তাই পুরাণ মতে দেবীর এই বিশেষ নাম যেখানে দেবী মাতৃরূপে শ্বেতপদ্ম এ বিরাজ করে নিরন্তর ভক্তের মঙ্গল করে যাচ্ছেন। দেবী মূলত চতুর্ভূজা। দুই হস্তে পদ্ম। আর বাকি দুই বহু দিয়ে নিজের সন্তান কার্তিককে নিজের কোলে বসিয়ে ধরে রেখেছেন।
শুভ মহা পঞ্চমী : দেবী স্কন্ধমাতা, মহামায়ার পঞ্চম বিভূতিমায়ের গাত্রবর্ণ উজ্জ্বল। দেবী দশদিক আলোকরে বসে আছেন। কথিত আছে দেবীর কাছে ভক্তিভরে কিছু চাইলে রিক্ত হাতে ফিরতে হয় না। পার্থিব অপার্থিব সকল সুখ ও প্রজ্ঞা উনি প্রদান করেন। শুধু চাই একটু নিষ্কাম ভক্তি। দেবীর সামনে সকল ইন্দ্রিয় ও জড়চেতনার প্রবাহকে সংযত করার পরেই তাঁর আরাধনা সম্ভব। মায়ের এই পঞ্চম অবতার এক বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। এই রূপেই মা এবং তাঁর পুত্রকে একসঙ্গে উপাসনা করা হয়। লক্ষ্য একটাই- তাঁদের অশেষ আশীষ প্রাপ্ত করা!

নবরাত্রির এই পঞ্চম দিনে, যোগমায়া স্বয়ং নেমে আসেন ভক্তবৃন্দের মাঝে। যেই যেই স্থানে তাঁর উপাসনা করা হয়, সেই সকল স্থানে তাঁর একক উপস্থিতি রন্ধ্রে রন্ধ্রে উপলব্ধি করে ভক্তরা। সকল গ্লানি ঘুচিয়ে, প্রভাতের প্রথম কিরণের ন্যায় প্রদান করেন এক স্নিগ্ধতা। আজ শুভ পঞ্চমী। বাঙালি মতে দুর্গাপূজার শুভ সূচনা। মাতৃকৃপায় প্রতিক্ষণ হয়ে উঠুক অনন্য!!
                                Written by – কুণাল রায়