দেশে লকডাউন চলছে টানা ২মাসের বেশি। তবে এই চতুর্থ দফার লকডাউনে বেশ কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে। রাস্তায় বাস, ট্যাক্সি, অটো চলছে। তবে আগামী ২৫ মে অর্থাৎ সোমবার থেকে দেশের বিভিন্ন শহরের মধ্যে ডোমেস্টিক উড়ান পরিষেবা চালু হচ্ছে। তবে করোনা সংক্রমণ এখনও কমেনি। তাই বিমান পরিষেবা চালু হলেও বিমানবন্দরগুলিতে এখন থেকে বিশেষ বিধিনিষেধ লাগু থাকবে। যথা সম্ভব সংক্রমণ এড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। কলকাতা এবং অন্ডাল, দুই বিমানবন্দরেই বিভিন্ন বিধিনিষেধ চালু করা হয়েছে।
তবে এই বিধিনিষেধ শুধু বিমানযাত্রার সময়েই নয় ৷ এই নিয়মগুলি প্রযোজ্য ট্রেন এবং বাসযাত্রার ক্ষেত্রেও ৷ কি সেই নিয়ম? জেনে নিন-
১) কি কি করতে হবে আর কি কি করতে হবে না, তা টিকিটের মধ্যেই লিখে রাখতে হবে বাধ্যতামূলকভাবে ৷
২) এয়ারপোর্ট, রেল স্টেশন এবং বাস টার্মিনালে করোনা সংক্রান্ত সমস্ত সুরক্ষামূলক বিষয়ে প্রচার চালাতে হবে।
৩) সব যাত্রীদের মোবাইলে আরোগ্য সেতু অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে।
৪) যাত্রীদের মাস্ক এবং গ্লাভস পড়তে হবে এবং স্যানিটাইজার অবশ্যই সঙ্গে রাখতে হবে।
৫) প্রত্যেক যাত্রীদের থার্মাল স্ক্রিনিং করাটা বাধ্যতামূলক ৷ তারপরেই যাত্রীদের বিমান, ট্রেন বা বাসে চড়ার অনুমতি মিলবে। বেরোনোর সময় ও থার্মাল স্ক্রিনিং করতে হবে।
৬) যে সমস্ত যাত্রীদের কোনওরকম রোগের লক্ষণ পাওয়া যায়নি তাদেরকেও অন্তত ১৪ দিন নিজেদের স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখতে হবে ৷ কোনও সমস্যা হলেই জাতীয় কল সেন্টার ১০৭৫ নম্বরে ফোন করে জানাতে হবে ৷
৭) বিমানবন্দর, রেল স্টেশন এবং বাস টার্মিনালগুলিকে প্রতিনিয়ত স্যানিটাইজড করার ব্যবস্থা রাখতে হবে ৷
৮) কোনো ব্যক্তির শরীরে সন্দেহজনক কিছু ধরা পড়লে তাকে আইসোলেশনে থাকতে হবে। আর করোনার ভালমতো লক্ষণ দেখা দিলে করোনার জন্য স্পেশালিস্ট হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হবে।
৯) কারোর করোনা লক্ষণ দেখা দিলে সমস্ত নিয়মকানুন মেনে চলতে হবে।
১০) বিমানবন্দর, রেল স্টেশন এবং বাস টার্মিনালগুলিতে প্রত্যেক যাত্রীদের মধ্যে সোশ্যাল ডিস্টেন্সিং বজায় রাখাটা বাধ্যতামূলক ৷