ননদ-বউদির সমস্যা চিরকাল ধরে চলে আসছে। আসলে কথায় আছে ‘মেয়েরা মেয়েদের শত্রু, কথাটা অপ্রিয় হলেও সত্যি’। দুটি মেয়ে ও একটি পুরুষ কখনোই সরল সমীকরণে চলতে পারে না। একটি বাড়িতে স্ত্রীর আগমনের পূর্বে প্রায় সমস্ত জায়গা জুড়ে থাকে একটি মেয়ে, যিনি কিনা হয় বোন অথবা দিদি। ভাই অথবা দাদার ভালবাসা ভাগ করতে চায় না সেই বোনটি অথবা দিদি। একটা অধিকার বোধ ফলাতে চান তাঁরা যা একজন নতুন বউ আসার পর থেকে আরও বেড়ে যায়। পাশাপাশি একটি মেয়ে যখন বিয়ে করে আসেন তখন বোনদের কাবাব মে হাড্ডি হয়ে যাওয়া ব্যপার একদম মেনে নিতে পারেন না। শুরু হয় সংঘাত। চলুন জেনে নিন বউদি-ননদের সম্পর্ক মজবুত করার টিপস।
ননদদের জন্য টিপস
- বউদি হোক বা ভাইবউ যেই আসুক না কেন তাঁর সামনে এমন কোন কথা বলবেন না যেখানে তিনি অসন্তুষ্ট হন। নিজের ব্যবহারে ও কথায় সংযত ভাব বজিয়ে রাখুন।
- দাদা হোক বা ভাইয়ের থেকে আগ বাড়িয়ে ফেভার নেওয়ার বদলে নিজে সমস্যা সল্ভ করার চেষ্টা করুন। সম্ভব হলে আপনার বউদির সঙ্গে সুযোগ বুঝে নিজের সমস্যার কথা শেয়ার করতে পারেন।
- মায়ের সঙ্গে বউদিকে নিয়ে অযথা পিএনপিসি তে জড়াবেন না।
- বউদির কোন কিছু আপনার একান্ত অপছন্দ হলে তাকেই সরসরি সসন্মানে বলুন। ভাই অথবা দাদার কানে নিজে থেকে কোন কথা তুলবেন না।
- দাদা-বউদি বা ভাই- ভাই বউ ঘুরতে গেলে তাঁর পিছু ধরবেন না।
বউদিদের জন্য টিপস
- ননদকে বোনের মতন দেখুন। যদি আপনার থেকে বয়সে ছোট হয় তবে প্রথম থেকে ‘তুই’ বলেই সম্বোধন করুন। যদি আপনার ননদ বয়সে বড় হয় তবে বন্ধুর চোখে দেখুন কিন্তু অতিরিক্ত মাখামাখি করবেন না।
- ননদের সম্পর্কে কোন নেগেটিভ মন্তব্য বরের কানে তোলার আগে সাবধান হন।
- সম্ভব হলে তাঁকে শাসন করুন কিন্তু অপমান নয়।
- ননদের ব্যক্তিগত ব্যপারে আগ বাড়িয়ে ঢুকতে যাবেন না। যদি সে নিজে থেকে শেয়ার করে তবেই মাথা ঘামাবেন।
- ননদকে নিয়ে প্রথম থেকেই সিনেমা, শপিং মল করবেন না। একা করুন অথবা স্বামীর সঙ্গে করুন। নয়তো পরবর্তীতে প্রাইভেসি মেইন্টেইন করতে পারবেন না।
- ননদের সঙ্গে ঝগড়া, মনকষাকষি হলে নিজেরাই সামলে নিন। অযথা স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়িকে তার মধ্যে জড়াবেন না। এতে সম্পর্কে জটিলতা আসবে। ঝামেলাও বাড়বে।