অসম : করোনার প্রকোপ বাড়তেই আগের তুলনায় রাতারাতি অনেক মানুষেরই চা পান করার অভ্যাস বেড়ে গিয়েছে। করোনার দাওয়াই হিসেবে দিনে কম করে তিন থেকে চার বার চা পান করছে দেশের সাধারণ মানুষ। আর তার ফলস্বরূপ লাভের মুখ দেখছেন চা ব্যবসায়ীরা। অন্যান্য ব্যবসার তুলনায় এখন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে চা ব্যবসা।
চলতি বছরে গতবারের তুলনায় প্রায় ৪০ শতাংশ কম চা উত্পাদন করেছে অসম চা। কিন্তু এতো কিছুর পরেও ভালো অঙ্কের মুনাফা ঘরে আসছে চা ব্যবসায়ীদের। করোনা আবহে যেখানে খতির সম্মুখীন হচ্ছেন অন্য ব্যবসায়ীরা সেখানে লাভের মুখ দেখছেন চায়ের ব্যবসায়ীরা। গত মার্চে সবুজ চা পাতার দাম ১৬ থেকে ১৮ টাকা কিলো দর ছিলো৷ কিন্তু দেশ জুড়ে লকডাউন চলার পরেও ব্যবসার ক্ষতি তো হয়নিই । উপরন্তু লাভের মুখ দেখছেন চা বাগানের মালিকরা।
চায়ের জন্য আসাম বিখ্যাত হলেও সব মিলিয়ে গোটা অসমে প্রায় ১.৫ লক্ষ ছোট চা বাগান ব্যবসায়ী রয়েছেন৷ এমনকি তিনসুকিয়াতেই আছেন মোট ২০ হাজার ছোট চা ব্যবসায়ী৷ করোনা পরিস্থিতিতে চায়ের এই ব্যপক ব্যবসা চলায় বেজায় খুশি চায়ের ব্যবসায়ীরা।
তাদের মধ্যে একজন চা ব্যবসায়ী জানান, অতিমারির সঙ্গে অসমে দুটি বড় ফ্যাক্টর চা শিল্পে প্রভাব ফেলেছে৷ গরম এবং বর্ষা এই দুটোই চায়ের জন্য অনুপযুক্ত পরিবেশ, তাই বিগত কয়েক মাসে চায়ের ফলন কমে গেছে। তাই আগের তুলনায় বেড়ে গেছে চায়ের দাম। কিন্তু এতো কিছুর পরেও ৫৪ থেকে ৫৫ টাকা কিলোদরে বিক্রি হচ্ছে চা, যা প্রকৃতপক্ষে চা ব্যবসায়ীদের কাছে ভগবানের আশীর্বাদের সমান।