মাইথোলজি

নৈহাটির বৃহৎ আকার কালীপুজোর রইলো আজানা ইতিহাস

Advertisement

কিছু আগেই মা ফিরে গেছেন বাপের বাড়ি তাই মর্ত্যবাসীর মন ঢেকেছে কালো মেঘে।তবে আর কিছুদিনের অপেক্ষা ফের ঢাকে কাঠি পরল বলে। আর কিছুদিন পরেই সাবেকিয়ানা, থিম আলোকসজ্জায় ভরে উঠবে এই শহর।কচি কাচাদের বাজি ফটকার আলোকে বিচ্ছুরিত হবে প্রত্যেকের মন।

“অসতো মা সত গময়। তমসো মা জ্যোতির্গময়। মৃত্যোর্মা অমৃত গময়”-মা আসছেন মায়ের আরেক রূপ কালীদেবীর আরাধিত হবেন সকলের কাছে। ভারতীয় সমাজের দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন হিসেবে কালীপুজো করা হয়। কালীপুজোর আরেক নাম দীপাবলি উপনিষদের এর অর্থ ন্যায়ের কাছে অন্যায়ের পরাজয়।

দীপাবলি ভারত নেপাল শ্রীলংকা মায়ানমার মরিসাস সকল জায়গায় পালিত হয় আবার উত্তর ভারতীয় হিন্দুদের মতে দীপাবলীর দিনে দিনে শ্রীরামচন্দ্র 14 বছরের নির্বাসনে পর দেশে ফেরেন। নিজের পরম প্রিয় রাজাকে ফিরে পেয়ে এইদিন অযোধ্যা বাসীরা প্রদীপ জ্বেলে রাজধানী সাজিয়ে তোলে আকার জৈন মতে 527 খ্রিস্টপূর্বাব্দের মহাবীর দীপাবলি দিনে নির্বাণ লাভ করেছিলেন।

তবে পশ্চিমবঙ্গে নৈহাটির কালীপুজো খুব জনপ্রিয়। এইদিন নৈহাটি সেজে ওঠে দূর্গাপুজার চেয়েও অধিক সমারোহে পালিত হয় এই উৎসব।

84 বছর আগের কথা নবদ্বীপের রাস উৎসবে গিয়েছিলেন নৈহাটির বাসিন্দা ভবতোষ চক্রবর্তী। সেখানে বিশাল প্রতিমা দেখে ফিরে এসে সঙ্গে সঙ্গে ঠিক করেন যে কালীপুজো করবেন। তবে এখানে মা কালী কালী রূপে নন,পূজিত হন বড়মা রূপে। এই প্রতিমার উচ্চতা হয় 18 হাত। এখানের অভিনবত্ব এখানে যে নৈহাটির কোনো প্রতিমার উচ্চতা এর থেকে বড় হয় না আর বড়মার পুজো শুরু হলে তবেই অন্য পুজো শুরু হয়। আর এই বড়মার পুজো হয় বৈষ্ণব মতে।

পরবর্তী সময়ে বড় কালী হিসাবে এর এই পুজো জনপ্রিয় হয় যত সময় গেছে এই পূজার মাহাত্ম্য বেড়েছে পরবর্তী সময় নৈহাটি ঋষি অরবিন্দ রোডের এই পুজো টির নাম দেওয়া হয় বড় মায়ের পুজো ।বর্তমানে বাংলার যেকোন প্রান্তে বড়মা নামে প্রসিদ্ধ বড় মায়ের মন্দির। এই পুজো শুরু হয় লক্ষ্মী পূজার দিন পূর্ণিমার সময় কাঠামো পুজো দিয়ে। এরপর কালীপুজোর দিন থেকে চার দিন এই পুজো হয় এবং প্রত্যেক দিন আলাদা আলাদা ভোগ নিবেদন করা হয় ঐতিহাসিক সফর নৈহাটিতে বড় বড় কালীপূজা হওয়া সত্বেও প্রথমে এই প্রতিমার বিসর্জন করা হয়।

Written by – দেবস্মিতা ধর

Related Articles

Back to top button