Home Remedies: রান্নাঘরে আতঙ্ক তৈরি করেছে টিকটিকি? মেনে চলুন এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলি
তিনবার টিকটিকি ডাকলে আমরা বলি সত্যি সত্যি সত্যি। কিন্তু, ওই টিকটিকি যখন দেওয়াল বেয়ে এদিক ওদিক করে তখন অনেকেরই আত্মারাম খাঁচা হয়ে যায়। টিকটিকি, আরশোলা, বিছা, কেন্ন এসব দেখে অনেকেই ভয় পান। টিভির পর্দায় নানান ধরনের স্প্রে’র বিজ্ঞাপন দেওয়া হয় ঠিকই, কিন্তু, সবাই কি স্প্রে কেনেন? ঘর থেকে টিকটিকি তাড়ানোর জন্য অনেকে অনেক কৌশল অবলম্বন করেন, তাই আজকের এই বিশেষ প্রতিবেদনে রইলো রান্নাঘর বা শোবার ঘর থেকে টিকটিকি বিদায়ের কিছু সহজলভ্য টিপস্ (Home remedies to get rid of lizards)।
ঘটনা হল, টিকটিকি প্রাণীটি বেশ নিরীহ কিন্তু বেশ বিষাক্ত। ঘরে বাচ্চা বা পোষ্য প্রাণী থাকলে টিকটিকি নিয়ে আগেই সচেতন হতে হবে। এরা যেকোনো জায়গায় পটি করে দেয়, ভুল বশত কোনো বাচ্চা যদি সেটা মুখে দিয়ে নেয় তাহলে সেই ডাক্তার কবিরাজি করতে হবে। এক্ষেত্রে, টিকটিকি তাড়ানো হল বুদ্ধিমানের কাজ। দেখে নিন টিকটিকি বিসর্জনের ঘরোয়া উপকরণ।
পুদিনা পাতা
আপনি টিকটিকিকে হাজারো যা যা বলুন যাবে না। তাই, টিকটিকি তাড়ানোর ক্ষেত্রে ঘরোয়া টোটকার মধ্যে প্রধান ও উল্লেখযোগ্য উপাদান হল পুদিনা পাতা। গরমে হয়তো আপনি পুদিনা সরবৎ খাচ্ছেন কিংবা পুদিনা পাতা দিয়ে কিছু স্পেশ্যাল ডিস তৈরি করছেন, অথচ জানেনই না যে পুদিনা পাতা টিকটিকির যম। পুদিনার গন্ধে টিকটিকি লেজ তুলে পালায়। তাই, রান্নাঘরে রাখুন পুদিনা পাতা। চাইলে একটা ছোট্ট প্লাস্টিকের পাত্রে মাটি দিয়ে পুদিনা ডাল বসিয়ে দিন, সেরকম কোনো যত্ন ছাড়াও গাছ গজিয়ে উঠবে। এতে করে টিকটিকির প্রকোপ কমবে আর ওই পাতা আপনি খেতেও পারবেন।
ডিমের খোসা
ডিম বেশ পুষ্টিকর খাবার, আর মজাদার। নানান পদ বানিয়ে ডিমের দফারফা করা যায়। কিন্তু, জানেন কি এই ডিম আপনার ঘরের দেয়াল থেকে টিকটিকির অবাধ বিচরণ বন্ধ করতে পারে? হ্যাঁ, ডিম ফাটিয়ে সাদা শক্ত খোসা ডাস্টবিনে না ফেলে শুকনো জায়গায় রাখুন। রান্নাঘর বা যেই ঘরে উৎপাত সেই ঘরে ওই খোসা রেখে দিন। চাইলে ঘরে যদি কোনো উচু সিমেন্টের জায়গা থাকে সেখানে রেখে দিতে পারেন কিংবা ভেন্টিলেশনের বাইরে ঝুলিয়ে দিতে পারেন সুতো দিয়ে। ডিমের খোসার মধ্যে যেই রাসায়নিক পদার্থ আছে সেই গন্ধে টিকটিকি পালায়।
কর্পূর বা ন্যাপথলিন বল
বাড়িতে পূজার জন্য ব্যবহার করা হয় কর্পূর আর আগেকার দিনে অনেকেই আলমারিতে ন্যাপথলিন বল রাখতেন যাতে শাড়িতে সুগন্ধ থাকে আর পোকামাকড় না হয়। সেরকমই এই দুটি ঘরোয়া উপকরণ তাড়াতে পারে টিকটিকিও। এক্ষেত্রে, আপনি একটি স্প্রে বোতল সংগ্রহ করে তাতে কিছুটা কর্পূর নরম্যাল জলে গুলে নিয়ে দেওয়ালে স্প্রে করতে পারেন। কিংবা একটা মসলিন ব্যাগ নিয়ে কিছুটা কর্পূর ঢেলে দেওয়ালে টাঙিয়ে দিন। এভাবে ন্যাপথলিন বল রাখতে পারেন। এইসবের গন্ধে টিকটিকি যেমন পালায় তেমনই অন্যান্য পোকামাকড় দূরে থাকে, ঘরে পজিটিভ এনার্জি তৈরি হয়।