ইদানিং নিত্যনতুন ফটোশুটের মাধ্যমে অভিনেত্রী মধুমিতা সরকার ঝড় তুলছেন নেট দুনিয়ায়। নেটিজেনদের একাংশের কাছে মধুমিতা টলিউড ‘দিভা’। সম্প্রতি নিজের ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টে মধুমিতা সাহসী ডেনিম ও ক্রপ টপে নিজের ছবি শেয়ার করেছেন। মধুমিতার একরাশ খোলা সিল্কি চুল ও হাতের দামি ঘড়ি নজর কেড়েছে নেটিজেনদের। এর আগেও মধুমিতা হলুদ রঙের শাড়িতে একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন যা যথেষ্ট ভাইরাল হয়েছিল। কিন্তু এবার তাঁর সাহসী পোশাক নয়, চর্চা শুরু হয়েছে তাঁর হাতের দামি ঘড়ি নিয়ে। টেলিভিশন থেকে সবে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে আসা অভিনেত্রীর হাতের ওই ঘড়ি কি আদৌ তাঁর নিজের কেনা অথবা বিশেষ কারো উপহার, তা নিয়ে এখন নেট নাগরিকদের জল্পনা তুঙ্গে।
মধুমিতাকে নিয়ে জল্পনার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। সম্প্রতি ষষ্ঠীর দিন সকালে একটি পাঁচতারা হোটেলের ব্রেকফাস্ট টেবিলে তাঁকে দেখা যায় তাঁর নতুন প্রেমিকের সাথে। মধুমিতা তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে সেলফি পোস্ট করেন। মধুমিতার নতুন প্রেমিক সাবির আহলুওয়ালিয়া ‘অডি’ কোম্পানির পিআর এবং মার্কেটিং রিজিওনাল হেড। এই মুহূর্তে সাবির বেশ কয়েকজন মিডিয়া ব্যক্তিত্বদের সাথে মিলে একটি ইভেন্ট এবং মিডিয়া হাউস খুলেছেন। ‘অডি’ কোম্পানি-তে কাজ করলেও সাবির মুম্বই-এর ‘হুইসলিং উডস ইন্টারন্যাশনাল’ থেকে অ্যানিমেশন ও গ্রাফিক্স ডিজাইন নিয়ে কোর্স করেছেন। এরপর তিনি পার্টনারশিপে ‘কোয়ান্টাম গ্যাব্রিয়েল’ নামে একটি মিডিয়া হাউস খুলেছিলেন। তাঁদের তৈরী বিভিন্ন অ্যানিমেটেড সিরিজ ‘সোনি’, ‘জি’ প্রভৃতি চ্যানেলে দেখানো হলেও প্রফেশনালিজমের অভাবে মিডিয়া হাউসটি আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়।
দেনার দায়ে মিডিয়া হাউসটি বন্ধ হয়ে যায়। সাবির এরপর আরেকটি মিডিয়া হাউস খুলেছিলেন। তবে সেই মিডিয়া হাউসটিও বিভিন্ন আর্থিক কারণে বন্ধ হয়ে যায়। মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে উচ্চপদে কর্মরত সাবির ব্যবসায়ী হিসাবে চূড়ান্ত অসফল। তবে পেশাগত কারণে মিডিয়া এবং এন্টারটেনমেন্ট ইন্ডাস্ট্রির টাইকুনদের সাথে তাঁর পরিচয় রয়েছে। নেটিজেনদের একাংশ প্রশ্ন তুলেছেন, মধুমিতা কি তাহলে সাবিরের এই পরিচিতিকে কাজে লাগাতে চাইছেন ? অপরদিকে সাবিরের ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে জানা গেছে, সাবির সুন্দরী মহিলাদের সান্নিধ্য উপভোগ করতে পছন্দ করেন। বিশেষ করে তাঁর পছন্দের তালিকায় রয়েছে কোলকাতার বেশ কিছু মডেল এবং অভিনেত্রী। সাবিরের সঙ্গে সম্পর্কের কারণে মধুমিতাকে যথেষ্ট ট্রোল করা শুরু হয়েছে। তবে টলি টাউনের সাবির ঘনিষ্ঠ এবং মধুমিতা ঘনিষ্ঠরা তাকিয়ে রয়েছেন সাবির ও মধুমিতা র এই ‘ডিল রিলেশনশিপ’- এর দিকে।
মধুমিতার প্রাক্তন স্বামী সৌরভের সঙ্গে মধুমিতার পরিচয় হয়েছিল সানন্দা টিভির জনপ্রিয় বাংলা ডেইলি সোপ ‘সবিনয় নিবেদন’-এর সেট থেকে। বেশ কয়েকবছর কোর্টশিপের পর মধুমিতা ও সৌরভ বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের কয়েক মাসের মধ্যেই সৌরভের বিরুদ্ধে পরকীয়া সম্পর্কের অভিযোগ আনেন মধুমিতা। 2019 সালে সৌরভ ও মধুমিতার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। বিবাহ বিচ্ছেদের পর মধুমিতার কেরিয়ারগ্রাফ তরতর করে এগোতে থাকে। এইসময় এক নামী প্রযোজকের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়। সাবিরের সঙ্গে মধুমিতার সম্পর্ক নিয়ে মধুমিতা সরাসরি কোনো প্রতিক্রিয়া না দিলেও ইন্সটাগ্রামে নিজের ছবির নিচে ক্যাপশন দিয়ে লিখেছেন যে, তিনি জানেন ,তিনি কোথায় দাঁড়িয়ে আছেন। অপরদিকে সৌরভ বলেন যে,মধুমিতা পরকীয়া সম্পর্কের অভিযোগ করেছিলেন তাঁর নামে, অথচ সৌরভ এখনও সিঙ্গল, কিন্তু মধুমিতা নিজে বিবাহ বিচ্ছেদের ঠিক পরেই জড়িয়ে পড়েছেন সম্পর্কে।