বিকেল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খুলবে হোটেল-রেস্তোরাঁ, ঘোষণা মমতার
এছাড়াও কর্মীদের এবং শ্রমিকদের ভ্যাক্সিনেশন করার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নির্বাচন পরবর্তীতে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার কারণে পুরো পশ্চিমবঙ্গে কার্যত লকডাউনের ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে অন্যান্য রাজ্যের মত সম্পুর্ন লকডাউন ছিল না, এখানে বেশ কিছু জায়গায় কিছু বিধিনিষেধ ছিল বটে কিন্তু অনেক জায়গায় ছাড় দেওয়া হয়েছিল দোকানগুলিতে। আজ বণিকসভার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী এই লকডাউন নিয়ে আরো কিছু ঘোষণা করলেন। তার সঙ্গেই, কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে না, তাই রাজ্য সরকার দ্রুত গতিতে ভ্যাক্সিনেশন করতে পারছে না।
তিনি জানিয়ে দিলেন, বিপর্যয় মোকাবিলায় বণিকসভার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ রয়েছে। তাই তাদের কর্মীদের টিকা দেওয়ার কথা উল্লেখ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা জানিয়ে দিলেন, ব্যাবসায়িক সংগঠনগুলিকে তাদের কর্মীদের টিকা তাদেরকেই কিনতে হবে। এছাড়াও তিনি ঘোষণা করলেন, অন্যান্য রাজ্যের মত লকডাউন না করে তিনি ব্যবসায়ীদের কথা কিছুটা হলেও চিন্তা করেছেন।
পাশাপাশি এবারে হোটেল-রেস্তোরাঁ নিয়ে বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানালেন যেন হোটেল এবং রেস্টুরেন্ট কাজ অনলাইনে বেশি করে চালানো সম্ভব হয়। তার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী বললেন, “মিষ্টির দোকান তো আমরা সকাল দশটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত খুলে রাখছি। তাহলে রেস্তোরাঁও খোলা থাকুক বিকেল ৫টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত। তবে কর্মীদের টিকা দিতে হবে এবং সমস্ত রকম নিরাপত্তাবিধি বজায় রাখতে হবে।”
বণিকসভা বৈঠকে মমতা আরো বলেন, ‘স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে টিকাকরণের সহযোগিতা করা হবে। যদি টাকা আসে তাহলে সেই টাকা দিয়ে টিকা কেনা যেতে পারে।’ তার পাশাপাশি গ্রামে গ্রামে ভ্যাক্সিনেশন করার উদ্যোগ নেওয়ার অনুরোধ করলেন তিনি বণিকসভাকে। তিনি জানালেন সুপারস্প্রেডার গোষ্ঠী এবং শ্রমিকদের টিকাকরণের জোর দেওয়া উচিত। তার সঙ্গেই তিনি ঘোষণা করলেন ২৫% কর্মী নিয়ে কাজ করা যায় কিনা দেখুন, তাহলে আগামী ১৫ জুন থেকে শপিং মল খোলার ব্যবস্থা করবে রাজ্য সরকার।