জীবনযাপনস্বাস্থ্য ও ফিটনেস

মারণ রোগ ক্যান্সার কি করে বুঝবেন ? আসুন এর কিছু লক্ষণ দেখে নিই-

Advertisement

ভারত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক, প্রিয়া দাস : ক্যান্সারকে প্রথমেই শনাক্ত করতে পারলে এটি নিরাময় করা হয়তো সম্ভব। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীকে বাঁচানো সম্ভব হয়ে ওঠে না। স্বাস্থ্য বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের ক্যান্সারকে সনাক্ত করার কিছু উপায় এর কথা বলা হয়েছে আসুন তা দেখে নিই-

১) খাবার গ্রহণের সমস্যা: খাবার খেলেই যদি বদহজম হয়ে থাকে তবে আপনার অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত।

২) দীর্ঘস্থায়ী কাঁশি: দীর্ঘদিন ওষুধ খাওয়ার পরেও যদি আপনার কাঁশি না কমে এবং এই কাঁশির কারণে যদি আপনার বুক ও পিঠে ব্যাথা অনুভব করে থাকেন তবে তা হতে পারে ক্যান্সারের লক্ষণ।

৩) দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি: মলাশয়ে ক্যান্সার হলে আপনি অবসাদে ভুগতে পারেন, এবং বিশ্রাম নেওয়ার পরও আপনার ক্লান্তি ভাব থেকে যাবে।

৪) আকস্মিক ওজন হ্রাস: কোনো কারন ছাড়াই যদি আপনার ওজন হ্রাস হতে থাকে তবে আপনার অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কোনো আঘাত ছাড়াই যদি শরীরের কোনো জায়গায় ব্যাথা অনুভব করে থাকেন এবং তা দীর্ঘদিন ওষুধ খাওয়ার পরও না কমে তবে এটা ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। তবে ব্যাথা কোথায় হচ্ছে তা নির্ভর করে রোগী কোন ক্যান্সারে আক্রান্ত তার ওপর।

৫) অকারনে রক্তক্ষরণ: কোনো কারন ছাড়াই যদি কাশির সাথে,স্ত্রী অঙ্গ বা মলদ্বার থেকে রক্তক্ষরণ হয় তবে তা ক্যান্সারের লক্ষন।

৬) অস্বাভাবিক মাংসপিণ্ড: যদি আপনি দেখেন আপনার শরীরে কোনো অস্বাভাবিক মাংসপিণ্ড জমেছে বা কোনো অস্বাভাবিক পরিবর্তন হয়েছে তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

৭) ঘন ঘন জ্বর: ক্যান্সার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে কমিয়ে দেয়। ফলে দেখা দিতে পারে ঘন ঘন জ্বর। কোনো কোনো ক্যান্সারে শেষ পর্যায়ে জ্বর দেখা দেয়। আবার কিছু কিছু ক্যান্সারে প্রাথমিক পর্যায়ে জ্বর দেখা যায়।

৮) ত্বকের পরিবর্তন: ত্বকের ক্যান্সারের কথা অনেকেই হয়তো জানেন না। ত্বকে যদি কোনো অস্বাভাবিক পরিবর্তন লক্ষ্য করেন তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুল করবেন না।

৯ মল-মূত্র ত্যাগের অভ্যাসে পরিবর্তন: যদি আগের তুলনায় মল বা মূত্রত্যাগ ঘন ঘন হয় তবে এটি ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। মলাশয় ক্যান্সারে ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়।

১০) অন্যান্য উপসর্গ: তবে এর বাইরেও অনেক লক্ষণ দেখা দিতে পারে।

অনেক অনেক সময় আবার ক্যান্সারের কোনো লক্ষণ বোঝা যায় না। তাই কোনো রকম অসুস্থতা দেখলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

বয়স যদি ৩০-৪০ পেরিয়ে যায় তাহলে প্রতি বছর একবার করে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে। কারণ প্রাথমিক পর্যায়েই রোগটি চিহ্নিত করতে পারলে তার চিকিৎসা সম্ভব হবে।

Related Articles

Back to top button