শ্রেয়া চ্যাটার্জি : করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে গোটা বিশ্ব আতঙ্কিত। চিন, ইটালিতে মৃত্যু মিছিল শুরু হয়েছে। ভারতবর্ষের আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে দিনে দিনে। দুরুদুরু বুকে সবাই এক একটি দিন যাপন করছেন।
সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা ভয়ের সৃষ্টি হয়েছে সাধারণ সর্দি-কাশি হলে তারা ভয় পেয়ে ভাবছেন এই বুঝি তাদেরকে করোনাভাইরাস আক্রমণ করলো। আসলে ভয় না পাওয়ার তো কিছু নেই সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে চীন, ইতালির করুন চিত্র আমরা প্রতিদিন দেখে চলেছি। সাধারণত বিদেশ ফেরত কোন মানুষের সংস্পর্শে থাকলে আপনার করোনাভাইরাস এর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু দিন যেভাবে চলছে সেই ভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে শুধু বিদেশ থেকে আসা মানুষের সংস্পর্শে এলেই যে আপনার করোনাভাইরাস হবে, না হলে হবে না সেইটা নিয়ে নিশ্চিন্তে আপনি বসে থাকতে পারবেন না। কিন্তু কি কি উপসর্গ হলে তবে আপনি বুঝবেন আপনি করোনাভাইরাস এ আক্রান্ত হয়েছেন সেটা চলুন একটু জেনে নি
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Now১) প্রথম থেকে তৃতীয় দিন : জ্বরের সাথে থাকবে আপনার হালকা গলা ব্যথা।
২) চতুর্থ দিন : আস্তে আস্তে রোগের উপসর্গ দেখা দিতে শুরু করবে, গলা ব্যথার সাথে সাথে যোগ দেবে গলা ভাঙ্গা, ক্ষুধাহীনতা, মাথার যন্ত্রনা, ডায়রিয়া এবং শরীরের তাপমাত্রা ক্রমে বাড়তে থাকবে।
৩) পঞ্চম দিন : তিন চারদিন জ্বর ভোগ করার পরেই আপনি ক্লান্তি অনুভব করবেন, সারা শরীরের মাংস পেশিতে অসম্ভব ব্যথা এবং শুকনো কাশি হবে।
৫) ষষ্ঠ দিন : সামান্য জ্বর থাকবে ১০০ ডিগ্রীর মতন, কাশি থাকবে কিন্তু শুকনো। তবে যেটি যুক্ত হবে, সেটি হলো অসম্ভব শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া সাথে বমিও থাকবে।
৬) সপ্তম দিন : জ্বরের পরিমাপ বাড়তে থাকবে, ১০০ ডিগ্রির বেশি, হবে। সাথে থাকবে শ্বাসকষ্ট ডায়রিয়া এবং বমি।
৭) অষ্টম এবং নবম দিন : উপসর্গ ক্রমেই জোরালো হবে, শ্বাসকষ্ট বাড়তে থাকবে।
এই সময়টিতে এমনিতেই ঠান্ডা থেকে গরম পড়ে অর্থাৎ ঋতু পরিবর্তনের সময় তাই ঘরে ঘরে হাঁচি-কাশি জ্বর লেগেই থাকে। তাই সামান্য জ্বর, হাঁচি, কাশি হলে ঘরে বসে মুঠো মুঠো প্যারাসিটামল না খেয়ে ডাক্তারের কাছে যান। ডাক্তারবাবুর পরামর্শ নিন। তাহলে নিজেও অসুস্থ থাকবেন অপরকেও সুস্থ রাখতে পারবেন আতঙ্ক ছড়াবেন না, নিজে আতঙ্কে থাকবেন না কোনরকম গুজবে কান দেবেন না।