বর্তমান যুগে সবার কাছেই অন্তত একটা করে ব্যাংক একাউন্ট রয়েছে। আজকের দিনে ব্যাংক একাউন্ট সবার একটা প্রয়োজন। আগেকার দিনে ব্যাংকের অতটা চল না থাকলেও এখন, সাধারণ সবজি বাজার করতে গিয়েও আমরা অনলাইন পেমেন্ট এর ব্যবহার করি। এই কারণে এখন ব্যাংক একাউন্ট থাকা সবার জন্য বাধ্যতামূলক হয়ে উঠেছে। টাকা ট্রান্সফার থেকে শুরু করে যে কোন পেমেন্ট, টাকা সুরক্ষিত রাখা এবং বিভিন্ন ধরনের ফিক্স ডিপোজিট একাউন্ট, সব ক্ষেত্রেই ব্যাংক একাউন্টের জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু অনেক সময় এরকম দেখা যায় একজন মানুষের একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। তাই যদি আপনারও একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকে আপনার জন্য একটি বড় নির্দেশিকা জারি করেছে আরবিআই। একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রাখার ক্ষেত্রে বেশ কিছু পরিবর্তন নিয়ে আসতে চলেছে রিজার্ভ ব্যাংক। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কি কি পরিবর্তন আসতে চলেছে এই ব্যাংকিং নিয়মে।
ব্যাংকের তরফ থেকে গ্রাহকদের নানা ধরনের অ্যাকাউন্ট খোলার সুবিধা দেওয়া হয়। আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী আপনি সেভিংস ব্যাংক একাউন্ট, কারেন্ট একাউন্ট, রেকারিং ডিপোজিট একাউন্ট, ফিক্স ডিপোজিট একাউন্ট অথবা জয়েন্ট একাউন্ট খুলতে পারেন। কিন্তু ভারতের সবথেকে বেশি মানুষ খুলে থাকেন সেভিংস ব্যাংক একাউন্ট। এই ধরনের অ্যাকাউন্টে আপনি সুদের সুবিধা পেয়ে থাকেন। পাশাপাশি এই ধরনের একাউন্টে টাকা রাখার কোন রকম শর্ত থাকে না। ফলে এটা আপনার প্রাইমারি অ্যাকাউন্ট হিসাবে খুব ভালো হতে পারে।
যে ব্যক্তিরা ব্যবসা করেন অথবা যাদের লেনদেনের পরিমাণ অনেক বেশি তারা সাধারণত কারেন্ট একাউন্ট খুলে থাকেন। এই ধরনের অ্যাকাউন্টে লেনদেন বেশি করার সুবিধা দেওয়া হয় এবং তার পাশাপাশি সুদের সুবিধা অনেক বেশি এই একাউন্টে। যারা চাকরি করেন তাদের জন্য সেলারি একাউন্ট খুব ভালো কারণ এই ধরনের অ্যাকাউন্ট জিরো ব্যালান্স একাউন্ট হবার পাশাপাশি এখানে সুদের পরিমাণ সাধারণ সেভিংস ব্যাংক একাউন্টের থেকে কিছুটা বেশি হয়। এছাড়াও অনেকে নিজের স্বামী অথবা স্ত্রীর সাথে জয়েন্ট একাউন্ট খুলে থাকেন। এই ধরনের অ্যাকাউন্ট দুজনেই মেন্টেন করার সুবিধা পেয়ে থাকেন ফলে একাধিক অ্যাকাউন্ট খোলার এবং চালানোর প্রয়োজন পড়ে না।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ভারতের গ্রাহকদের তেমন কোন লিমিট রাখেনি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে। আপনি একটি ব্যাংকের সাথে একাধিক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন অথবা একাধিক ব্যাংকে আপনার একাউন্ট রাখতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে আপনাকে প্রতি বছরে নিয়মিত আয়কর দিতে হবে যদি আপনার আয় করযোগ্য হয়। পাশাপাশি আপনার প্রত্যেক অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্স আপনাকে মেইনটেইন রাখতে হবে যাতে আপনার কোন সমস্যা না হয়। যদি আপনি এই ব্যালান্স মেন্টেন না রাখতে পারেন তাহলে কিন্তু আপনি বিপদে পড়বেন।