শীতে কাবু বিছানায় কম্বল ছেড়ে উঠতে মন চায় না, তবে এই কাজগুলি করে ফুর্তি ফিরিয়ে আনুন
শীত সকলকেই কষ্ট দেয়, হার হিম করা ঠান্ডায় উঠে রোজের কাজ করা খুব দুষ্কর হয়ে পরে। কম বয়সীদের তোহ কিছু করে চলে যায় কিন্তু বয়স্ক ব্যাক্তিদের এই শীত ও ঠান্ডা খুব ভুগোয়। তাই এর থেকে বাঁচবার উপায় নিয়ে হাজির আমরা।
এই শীতকাল এমন একটি ঋতু যে ইচ্ছে করে সারাদিন শুধু কম্বল নিয়ে শুয়ে, বসে থাকি। ঠান্ডার কারণে বাইরে যাওয়া দূরে থাক, ঘরের এক কোণ থেকে অন্য কোণে যেতেও ভালো লাগে না। ঠাণ্ডা বাতাসে বাইরে গেলেও ঠান্ডার কারণে অসুস্থ হতে বাধ্য। আগে বাড়ির বয়স্করা শীতকালে এমন প্রতিকার ব্যবহার করতেন, যা শরীরের তাপ ধরে রাখে ঠান্ডার প্রভাবে কম হতে দেয় না। এই টিপসগুলো ব্যবহার করে দেখুন, শরীর হয়ে উঠবে উষ্ণ ও চটপটে। শরীর থেকে রোগ ও অলসতা দুটোই দূরে থাকবে।
আসুন আপনাদের বলি সেই পুরোনো টোটকা গুলো যা ঘরোয়া হলেও খুব উপকারী:-
১) সরিষা তেল ব্যাবহার করুন মালিশ করতে:-
সরিষার তেল শরীরকে গরম করে। শীতকালে শিশুদের মালিশ করার জন্য সরিষার তেল ব্যবহার করা হয়। ঠাণ্ডা দূর করতে সরিষার তেল খুবই উপকারী। এই দিনে সরিষার তেল সামান্য গরম করে পায়ে মালিশ করলে সর্দি চলে যায়। রোজ রাতে মালিশ করলে শরীর তাড়াতাড়ি গরম হবে এবং ঠান্ডা লাগবে না। সকালে ঠান্ডায় স্নান করতে মন না চাইলে এই তেল মালিশ করে চনমনে হয় স্নান করুন ও স্নানের পরও এই তেল হাতে পায়ে মাখুন ঠান্ডা পালাবে দূরে।
২) লবঙ্গ এবং নারকেল তেল:-
শীতে অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে অনেকের শরীর শক্ত হয়ে যায়। আজকাল বুকেও চাপাভাব আছে। এজন্য নারকেল তেল হালকা গরম করে লবঙ্গ দিয়ে বুঝে পিঠে ম্যাসাজ করুন। বুকের শক্ত ভাব ও সারা শরীরের ঠান্ডা চলে যাবে।
৩) গরম জলে স্নান করুন করলে:-
এই শীতে সকালে স্নান করা খুব কঠিন কাজ, কিন্তু সাহস করে একবার গরম জলে স্নান করলে শরীর থেকে ঠান্ডা চলে যায়। গরম জল ঠান্ডার থেকে স্বস্তি দেয়। গরম জল চুল ও ত্বকেরও ক্ষতি করে, তাই শীতকালে বিশুদ্ধ জল দিয়ে স্নান করুন কিন্তু তার তাপ দেখে স্নান করুন। জল সামান্য উষ্ণ রেখে স্নান করুন।
৪) হলুদ দুধ পান করুন:-
শীতকালে শরীরকে ভেতর থেকে সচল ও সুস্থ রাখতে চাইলে হলুদ মিশিয়ে দুধ পান করলে উপকার পাওয়া যায়। শীতকালে, দুধে হলুদ যোগ করার পর এই উষ্ণ গরম দুধ পান করা উচিত। এর ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায় এবং সর্দি-কাশির সমস্যাও দূরে থাকে। এই দুধে চিনির বদলে গুর দিয়ে খান বেশি উপকার পাবেন।
৫) মধু:-
সকালে গরম জলে মধু মিশিয়ে পান করুন। এই পানীয় পান করলে হজম শক্তি বৃদ্ধি করে ও শরীর চনমনে রাখে ও গরম রাখে শরীর। আপনি সিতে চবনপ্রাশ ও মধু খেতে পারেন এটি সর্দির হাত থেকে রক্ষা করে।
৬)আদা চা:-
শীতে চা আমাদের একমাত্র ভরসা। এই দিনগুলিতে, আদা যোগ করে চা পান করা উচিত। আদা চা শুধু স্বাদই নয়, এই চা পান করলে স্বাস্থ্যের জন্যও অনেক উপকার পাওয়া যায়। আদার মধ্যে উপস্থিত অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সর্দি-জ্বরের মতো সমস্যা দূর করে। হজমের সমস্যাও দূরে থাকে আদা। এবং লাল চায় আদা গোলমরিচ দিয়ে খেলে শরীর খুব গরম হয়।