Railway Ticket: আর কোন বিভ্রান্তি নয়, দূরপাল্লার ট্রেনে টিকিট সংরক্ষিত কিনা বুঝুন সহজেই
দূরপাল্লার ট্রেনে সফর করার সময়ে টিকিট (Reserved Ticket) নিয়ে প্রায়ই বিভ্রান্তি দেখা দেয়। টিকিট সংরক্ষিত কিনা তা সাংকেতিক ভাবে উল্লেখ করা থাকে টিকিটেই। কিন্তু অনেক সময়ই যাত্রীরা তা বুঝে উঠতে পারেন না। তাই পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষের তরফে টিকিটে উল্লিখিত সঙ্কেতগুলির ব্যাখ্যা করা হয়েছে। অনলাইন কিংবা অফলাইনে টিকিট কাটলে যাত্রীদের একটি পিএনআর নম্বর দেওয়া হয়ে থাকে। এই নম্বর দিয়েই জানা যায় যাত্রীর আসন সংরক্ষিত কিনা। পাশাপাশি যাত্রী কোন স্টেশন থেকে উঠবেন, কোন স্টেশনে নামবেন এমন সব তথ্যও দেওয়া থাকে পিএনআর নম্বরে।
টিকিটে ‘সিএনএফ’ লেখা থাকার অর্থ ‘কনফার্মড’, অর্থাৎ সংরক্ষিত আসনে বসেই সফর করতে পারবেন যাত্রী। টিকিটে ‘আরএসি’ লেখার অর্থ হল ‘রিজার্ভেশন এগেনস্ট ক্যানসেলেশন’। এক্ষেত্রে যাত্রী টিকিট নিয়ে সফর করতে পারবেন ঠিকই, তবে অন্য যাত্রী টিকিট বাতিল করলে তবেই তিনি সংরক্ষিত আসন পাবেন। নয়তো ‘আরএসি’ টিকিটের অন্য যাত্রীর সঙ্গে আসন ভাগাভাগি করতে হবে। ‘জিএনডব্লিউএল’ এর অর্থ ‘জেনারেল ওয়েটিং লিস্ট’। অর্থাৎ সংরক্ষিত আসনের কোনো যাত্রী টিকিট বাতিল করে পর্যায়ক্রমে ওয়েটিং লিস্টে থাকা যাত্রীরা আসন পাবেন।
‘সিকেডব্লিউএল’ বা ‘পিকেডব্লিউএল’ এর অর্থ তৎকাল কোটার ওয়েটিং লিস্ট। ‘আরএসডব্লিউএল’ লেখা থাকার অর্থ হল মধ্যের স্টেশনগুলি থেকে কাটা টিকিটের ওয়েটিং লিস্ট। তবে এই তালিকায় আসন সুরক্ষিত হওয়ার সম্ভাবনা কম। মাঝের কোনো স্টেশন থেকে আসন বুক করা হলে আর আসনগুলি যদি সফর শুরুর স্টেশন থেকে ভর্তি না হয় তাহলে এই তালিকা দেওয়া হয়।
টিকিটে ‘পিকেডব্লিউএল’ লেখা থাকার অর্থ ‘পুলড কোটা ওয়েটিং লিস্ট’। যেসব যাত্রীরা সফর শুরুর স্টেশন থেকে শেষ স্টেশনের আগের কোনো স্টেশনে বা মধ্যবর্তী দুই স্টেশনের মাঝে সফর করেন তাদের নাম থাকে এই তালিকায়। ‘আরএলডব্লিউএল’ এর অর্থ কোনো ট্রেনের যাত্রাপথের মাঝে কোনো বিখ্যাত শহরে পৌঁছানোর জন্য মধ্যবর্তী স্টেশন থেকে আসন বুক করা হলে এই ওয়েটিং লিস্ট দেওয়া হয়। সংরক্ষণের ক্ষেত্রে এই টিকিটগুলিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। ‘আরকেডব্লিউএল’ এর অর্থ হল মধ্যবর্তী স্টেশন থেকে আসন বুক করলে টিকিট যদি পুলড কোটা বা সাধারণের অন্তর্ভুক্ত না হয়, সেক্ষেত্রে এই ওয়েটিং লিস্ট দেওয়া হয়। ট্রেনে ওঠার আগে ১৩৯ নম্বরের মাধ্যমে এই পিএনআর স্টেটাস চেক করতে হবে যাত্রীদের।